Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

Sonu Sood: তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন’ প্রসঙ্গে কী বললেন সোনু সুদ?
Bangladesh_Crisis_(2)
Bangladesh_Crisis_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন এখন সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের (Bangladesh Crisis) রূপ নিয়েছে। হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বহিন্দু পরিষদ ইতিমধ্যে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। গত সোম–মঙ্গলবার চলেছে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার। নির্বিচারে মন্দির ও মূর্তি ভাঙার ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে নিপীড়িত হিন্দুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ছবি। এবার ‘হিন্দুদের ওপর নির্যাতন’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার করলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তিনি স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “এটা খালি আমাদের সরকারের দায়িত্ব নয়, ওঁদের জীবনে যাতে শান্তি ফেরে তার জন্য সকলের ভাবা উচিত।”

কী বললেন সোনু সুদ (Bangladesh Crisis)?

রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা গণভবন লুট করার পর থেকেই টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রংপুর, ঢাকা, খুলনা, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জে চলছে নির্বিচারে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। সমাজিক মাধ্যমে লাইভ করে নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিবরণ দিয়ে ভেঙে পড়ছেন হিন্দুরা। ঠিক এমন এক মহিলার ওপর অত্যাচারের ভিডিও বিনিময় করে সোনু (Sonu Sood) বলেছেন, “আমাদের সবটা দিয়ে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষদের জীবন সুরক্ষিত করতে সকলকে একসঙ্গে কাজে নামতে হবে। শুধু ভারত সরকারের একক কাজ নয়। ওঁদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দেওয়ার প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। ওঁরাও নিজের মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমাদেরও একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। জয় হিন্দ।”

আরও পড়ুনঃ ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

আইনের শাসন প্রয়োগে কি ব্যর্থ সেনা বাহিনী?

বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের (Bangladesh Crisis) চূড়ান্ত রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং নাগরিকদের জান-মালের সুরক্ষার কথা জানিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। কিন্তু বাস্তবে আইনের শাসন প্রয়োগে ব্যর্থ হয় সেনাবাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা সারা দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আওয়ামি লীগের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-সমর্থক, প্রাক্তন ক্রিকেটার, অভিনেতা, সাংবাদিক কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তবে সব থেকে বড় টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, সম্পত্তি এবং মন্দিরকে। বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। একই ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles