মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করার ফল! দিল্লি থেকে সটান দেশের দুই সীমান্তে বদলি করে দেওয়া হল আইএস দম্পতিকে।
পোষা কুকুরকে নিয়ে সস্ত্রীক স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন আইএএস অফিসার। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে খালি করে দেওয়া হত দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম (Thyagraj Stadium)। ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের ব্যাগপত্র গুছিয়ে সাতটার মধ্যেই খালি করে দিতে হত স্টেডিয়াম চত্বর। সাংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) তথা আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ারকে (Sanjeev Khirwar) বদলি করে দেওয়া হল লাদাখে (Ladakh) এবং উচ্চপদে কর্মরত তাঁর আইএএস স্ত্রী রিঙ্কু দুগ্গাকে পাঠানো হল অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh)।
[tw]
their dog?#IASOfficer https://t.co/rVBEXZcisJ
— Karan Raghav 🇮🇳 (@krnraghav) May 26, 2022
[/tw]
অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের সন্ধে ৭টার মধ্যে স্টেডিয়াম ছাড়তে বলা হচ্ছিল। ওই সময় নিজের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে সস্ত্রীক এই স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) তথা আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ার। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির সমস্ত স্টেডিয়াম রাত ১০টা পর্যন্ত খেলোয়াড়দের জন্য খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। দিল্লির মুখ্যসচিব বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (Home Ministry ) চিঠি লেখেন। এর পরই আইএএস সঞ্জীব খিরওয়ার এবং তাঁর আইএএস অফিসার স্ত্রীকে বদলি করা হল।
আরও পড়ুন: যৌনকর্মীরাও সমান সুরক্ষার অধিকারী জানাল শীর্ষ আদালত
সম্প্রতি এক প্রশিক্ষক অভিযোগ করেন, “আগে আমরা ৮টা-সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রেনিং করতাম। কিন্তু এখন, আমাদের সন্ধে ৭টার মধ্যে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ওই আমলা তাঁর কুকুর নিয়ে হাঁটতে পারেন। এর ফলে আমাদের প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছে।’’এই ঘটনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে স্টেডিয়ামে খেলতে আসা খেলোয়াড়দের পরিবারের তরফ থেকেও।
[tw]
Who will take the dog for a walk now? 😂#IASOfficer#SanjeevKhirwar pic.twitter.com/2zNQUUscel
— Jk 😎 (@theUnethical1) May 26, 2022
[/tw]
যদিও স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা অনিল চৌধুরি আইএএস অফিসারের সুবিধার জন্য খেলোয়াড়দের তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, খেলোয়াড়দের সন্ধে ৭টা পর্যন্তই প্রশিক্ষণ করার নিয়ম ছিল। এর পর, খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষকরা নিজেরাই চলে যান। কেউ তাঁদের তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলেনি। আইএএস অফিসার সঞ্জীব জানিয়েছেন, এই ঘটনার ‘সম্পূর্ণ ভুল’ ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি মাঝে মাঝে তাঁর পোষ্যকে নিয়ে বেড়াতে যান ঠিকই, কিন্তু তাতে কারও প্রশিক্ষণে ব্যাঘাত ঘটে না। তবে ঘটনা যাই হোক আমলা দম্পতির বদলির পর তাঁদের পোষ্যটি কোথায় যাবেন তা নিয়ে চিন্তিত নেটিজেনরা। এই নিয়ে ট্যুইটারে মিমের ছড়াছড়ি।
+ There are no comments
Add yours