মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান প্রস্রাবকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। শনিবার মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী শঙ্কর মিশ্রকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার জেরে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। গত বছর ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-দিল্লির বিমানের বিজনেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় শঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি এক মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। শেষপর্যন্ত ঘটনার প্রায় ৪২ দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাঁকে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লি আদালত। কিন্তু জানেন কি অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে আটক করা অতটাও সহজ ছিল না। কারণ তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।
কীভাবে দিল্লি পুলিশ খোঁজ পেল অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শঙ্কর মিশ্রকে শেষবার দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। তার ভিত্তিতেই খোঁজ চলছিল। এর পর বিমানবন্দরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শঙ্করের ফোন ট্রেস করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এছাড়া ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট, ব্যাঙ্ক লেনদেনও নজরে রাখা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ৩ জানুয়ারি শঙ্কর মিশ্রের মোবাইল ফোন বেঙ্গালুরুতে সক্রিয় ছিল। তার পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ। এর পর তাঁর অবস্থান জানতে বেঙ্গালুরুতে দিল্লি পুলিশ বেশ কয়েকটি দল মুম্বইয়ে পাঠিয়ে ছিল। কিন্তু সেখানেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ফোন বন্ধ করে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আর এতেই পুলিশের তাঁকে খুঁজতে সুবিধা হয়ে যায়। আবার তিনি এক জায়গায় ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র
এরপরেই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবি কুমার সিং বলেছেন, "আইজিআইএ মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে দিল্লি পুলিশের একটি দল বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছে৷ তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং মামলার আরও তদন্ত চলছে৷" অভিযুক্ত বেঙ্গালুরুর সঞ্জয় নগরে তাঁর বোনের বাড়িতে থাকতেন। বেঙ্গালুরু পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে দিল্লি পুলিশের দলকে সহায়তা করেছিল।
চাকরি হারিয়েছেন অভিযুক্ত
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁকে বহিষ্কার করেছে ওয়েলস ফার্গো৷ মুম্বইয়ে ওয়েলস ফার্গো নামে একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়েলস ফার্গোর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বিমানের মধ্যে শঙ্করের বিরুদ্ধে যে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে, কোম্পানি তা কোনওভাবেই সমর্থন করে না। এই ঘটনায় সংস্থার বদনাম হয়েছে। ফলে সংস্থা তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
+ There are no comments
Add yours