মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উপগ্রহ ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় সম্প্রতি তার মহড়া দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। আগামী দিনে কখনও কোন সংঘাত হলে দেশের উপগ্রহ সংযোগ (Satelite System) কতটা সহনশীল তা পরখ করে দেখা হয়েছে এই মহড়াতে। আর্মির এই স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অ্যাসেটকে ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়েছিল। তার সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে স্কাইলাইট। তবে সুরক্ষার জন্য গোটা ব্যবস্থাটিতে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাশিয়া, ইউক্রেন সংঘাতকে ঘিরে নতুন করে শিক্ষা নিচ্ছে একাধিক দেশের সেনাবাহিনী। চিনের সঙ্গে যে উত্তরের সীমান্ত রয়েছে সেটাও উদ্বেগের একটি বিষয়। সেকারণে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সেনা বাহিনী। মূলত ভূগঠনগত একটি সমস্যা ওই সীমান্তে থেকেই গিয়েছে। যে কোনও সময়ে চিন বা পাকিস্তানেক সঙ্গে যুদ্ধ লাগতে পারে। তাই তখন যাতে দেশকে কোনও বিপদে পড়তে না হয়, তাই আগে থেকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা
মূলত সেনার অন্দরে এরোস্পেস টেকনোলজি কতটা রয়েছে সেটাও দেখা হয়। আধিকারিকদের মতে, সেনার হাতে ইসরোর একাধিক উপগ্রহ, যানবাহনের মাথার উপরে থাকা পোর্টেবল টার্মিনাল, মানুষের দ্বারা বহনকারী টার্মিনাল রয়েছে। এই মহড়া চলাকালীন সমস্ত স্যাটেলাইট ব্যবস্থাকে কার্যকর করা হয়েছিল। ইসরোও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ছাড়পত্র মিলেছে ১৫টির, সেনা চায় ৯৫টি! জানুন এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য
সেনা সূত্রের খবর, আগামী দিনে যুদ্ধে স্পেস একটি জটিল জায়গা দখল করবে। আধুনিক প্রযুক্তি এমন দিকে এগোচ্ছে যে মহাকাশ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে যুদ্ধের গতি।আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেনা চাইছে নিজের জন্য একটি স্যাটেলাইটের ব্যবস্থা তৈরি করতে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরনের উপগ্রহের ব্যবস্থা থাকলে শুধু পদাতিক সেনাদের জন্য নয়, সব জায়গায় এটা সহায়তা করবে।
+ There are no comments
Add yours