মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মাামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। আর এরই মধ্যে ফের অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আর এই টাকার উৎসের সন্ধান করতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীদের ডেকে পাঠায় সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে। অন্যদিকে গতকাল অনুব্রতের প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
ব্যাংকের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর
অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার সন্ধান করতে বুধবার সন্ধ্যায় বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এখানেই বোলপুরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। কারা, কত টাকা, কার অ্যাকাউন্টে ও কীভাবে জমা দিয়েছিল তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, আজও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসবাদ করবে সিবিআই, এমনও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছে যে, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে। যার ফলে এই টাকা কার ও কীভাবে এল, আর এর উৎস কী তা জানতেই গতকাল ব্যাঙ্কের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য
ইডির জেরার মুখে কেষ্টর প্রাক্তন পরিচারক মুন
এর আগেও বিশ্বজ্যোতিকে তলব করেছিল ইডি। তবে এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হয়েছেন বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর মুন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মুন পৌঁছান দিল্লিতে ইডির দফতরে। তার পর থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মুনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকার। ইতিমধ্যেই বোলপুর পুরসভার ওই কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে এ বার মুনকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা। বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলরও হন বিশ্বজ্যোতি। এরপর গরুপাচার মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। সিবিআই দাবি করে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মুনের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে ডেকে জেরা করা হয়। আর এবার ইডির নজরে মুন।
+ There are no comments
Add yours