মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট (Anubrata Mondal) রয়েছে গারদে। দুর্গাপুজো কেটেছে আসালসোলের সংশোধনাগারে। আর এবার কালীপুজোও কাটছে সেখানেই। প্রতিবছর বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে যে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় তা কেষ্টর কালীপুজো নামে পরিচিত এলাকায়। কোনও বছরেই সেই পুজোয় এতটুকু কমতি হয়নি। প্রত্যেক বছর জাঁকজমকভাবে সেই পুজো করা হত। আর মায়ের গায়েও থাকত ভরি ভরি গয়না। কিন্তু এবছর গরুপাচারে কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) হাজতবাস করছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে জৌলুস হারাল তাঁর কালী পুজো, আর কমল প্রতিমার গয়নার পরিমাণও।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে প্রতিমা গতবছর সেজে উঠেছিল ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়, এবার সেজেছে মাত্র ৪০ ভরিতে। ২০১৮ সালে কালী প্রতিমা সাজানো হয়েছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়নায়। ২০১৯ সালে গয়নার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে সেই প্রতিমা সাজানো হয়েছিল প্রায় ৩০০ ভরি গয়না দিয়ে। আর ২০২১-এ তার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ৫৭০ ভরি। মাথায় ছিল সোনার মুকুট। এছাড়াও ছিল সীতাহার, চেন, গলার চিক, চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা, বাজুবন্ধ, টায়রা-টিকলিও ইত্যাদি। কিন্তু এবছর এর একেবারে বিপরীত দৃশ্য। মাথায় সোনার মুকুট নেই, কানের দু পাশে কান বালা উধাও, বাজুবন্ধ মানতাসা কিছু পড়ানো হয়নি মাকে। কিছু সীতাহার, সোনার চেন, চারহাতে চারটি বালা, টিকলি,টায়রা পড়িয়ে পুজো করা হল কেষ্টর কালীকে।
আরও পড়ুন: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম
এবছর কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেলে থাকায় কেষ্টর কালীপুজো কে করবে? কে পরাবে প্রতিমার অলঙ্কার? জাঁকজমকেরই বা কী হবে? প্রশ্ন ছিল একাধিক। শেষে জানা গিয়েছে, কালী মূর্তিকে সোনার গয়নায় সাজালেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকারী। অফিসের দোতলায় কালী মন্দিরে বিকেলেই মাকে সাজানো হল। একে একে হাজির হলেন কর্মীরা। গেটের বাইরে এলইডি আলোর গেট।
এবারে অতিথিদের খাবারেও কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথিদের খাওয়ার জন্য রাত্রে প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি, পাঁঠার মাংস, ভাজা, তরকারি, চাটনি, পাঁপড় মিষ্টি রয়েছে। তবে বেশ কিছু পদ কমেছে। আবার ভয়ে অনেক নেতা-নেত্রীদের নিমন্ত্রনও করা হয়নি। আবার আসতে চায়নি অনেকে। অন্যদিকে দলীয় স্তরে জেলা কমিটির সদস্যদের এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাকে সামনে রেখে বেশ কিছু নেতা ও অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে জেলা নেতাদের কাছে।
+ There are no comments
Add yours