Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

Cattle Smuggling: এখান থেকেই চলত 'বীরভূম-রাজ', আজ কেমন অবস্থায় কেষ্টর বাড়ি?...
anubrata-house
anubrata-house

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি ছিল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতির 'নিউক্লিয়াস'। নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই পরিচালিত হত জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, তা সে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক। কিন্তু, গত ৩৬-ঘণ্টায় বিস্তর পট-পরিবর্তন ঘটে গেছে। বৃহস্পতিবার, গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রতকে ১০ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

স্থানীয়দের মতে, বীরভূমের 'বেতাজ বাদশা' ছিলেন কেষ্ট। তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ এতটাই ছিল যে, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর নির্দেশেই চলত। এমনকী, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাতেন। এতটাই ছিল তাঁর দাপট। স্থানীয়রা জানালেন, তিনি (অনুব্রত) ছিলেন বীরভূমের অঘোষিত রাজা। গোটা জেলা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। আর সেই সাম্রাজ্য চালাতেন নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই।

আরও পড়ুন: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। গমগম করত গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে। আজ বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। ফলে, শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টিতে কেষ্টর বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। এক প্রতিবেশী জানালেন, আজ বাড়িতে কেউ নেই। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।

স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের যে সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক বীরভূমে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টেড ছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই কেষ্টর সুসম্পর্ক ছিল। বা বলা ভাল, সকলেই কেষ্ট-দার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতেন। তাঁদের কথায়, কে-ই বা জলে কুমীর এবং ডাঙায় বাঘের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায়? ফলে, অনুব্রত যা চাইতেন, জেলায় তাই হতো। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক— সব সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রতই। 

আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বীরভূমে কেষ্ট এমন একটা 'সিস্টেম' চালু করেছিলেন, যাতে করে ওই জেলার যাবতীয় প্রধান সিদ্ধান্তগুলি তিনিই নিতেন। মাঝে কেষ্টর একটা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল বটে। তাঁদের দাবি, একটা গোষ্ঠী সেই সময় মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও হয়ে যায়। আর অনুব্রত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলার 'শেষ কথা'।

স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই গরু, কয়লা ও বালি পাচারের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বীরভূম। তাঁরা জানান, বীরভূমের বাতাসে টাকা নাকি ভেসে বেড়ায়। আর সবকিছুর হিস্-সা আসত কেষ্টর কাছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আব্দুল লতিফ হল গরু হাটের মালিক। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুল লতিফের সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষক বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles