মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বান ও ধসের (Landslide) জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (Sikim) বিস্তীর্ণ এলাকা। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান থেকে চুংথা পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই পেগং হয়ে লাচুং ও লাচেন পর্যন্ত যেতে হয় পর্যটকদের।
চলছে উদ্ধার কাজ
এসব জায়গায় বেড়াতে গিয়েছেন বহু পর্যটক। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালিও রয়েছেন। হোটেলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন আমেরিকান এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে প্রকৃতি বিরূপ হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। উত্তর সিকিমে ধস (Landslide) এবং রাস্তা বন্ধের জেরে আটকে পড়েছিলেন এঁরা।
উদ্ধার ২ হাজার
শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিমের লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং উপত্যকা। তার জেরে উত্তর সিকিম জেলার সদর মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। হড়পা বানে বিধ্বস্ত এলাকায় নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধার করা হচ্ছে পর্যটকদের। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গরম খাবার, থাকার জায়গা এবং চিকিৎসা সহায়তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮
এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারত ও হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজও। ১৫ তারিখ থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে। তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস (Landslide)। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলিতে যাওয়ার পথ। ধসের কারণে ৩৪৫টি চারচাকা গাড়ি ও ১১টি মোটর সাইকেলও আটকে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী রীতিমতো ফুঁসছে। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন নবতিপর এক ব্যক্তি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours