Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ১-এর ওরিয়ন স্পেসক্রাফট।
IMG_20200109_095612-1
IMG_20200109_095612-1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকটা দিনেরই অপেক্ষা। কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Programme)। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। গত বুধবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে পাঠানো হবে।

সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্টে কোনও মানুষ না থাকলেও, থাকবে তিনটি ম্যানেকিন অর্থাৎ মানুষের মত পুতুল, কিছু খেলনা এবং সঙ্গে অ্যামাজন অ্যালেক্সা। এছাড়াও এমন কিছু জিনিস যার সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগতমূলক গুরুত্ব আছে।

মুনিকিন ক্যাম্পোস (Moonikin Campos) নামে ম্যানেকিনটি ওরিয়নের ভেতরে কমান্ডারের জায়গায় থাকবে। লঞ্চের সময় এটিকে ওরিয়ন সারভাইভাল সিস্টেম স্যুট (Orion Survival System suit) পরানো হবে। এই স্যুটটি মহাকাশচারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই ম্যানিকুইনটি সেন্সরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করবে। কমান্ডারের সিটটি সেন্সর দিয়ে তৈরি করা আছে যা মিশনের সময় গতিবেগ ও ভাইব্রেশনকে ট্র্যাক করবে।

আরও পড়ুন: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

হেলগা ও জোহার (Helga & Zohar) নামের অন্য দুটি ম্যানিকুইনের কাছে ৫৬০০টি সেন্সর ও ৩৪ টি রেডিয়েশন ডিটেক্টর রয়েছে যার মাধ্যমে তারা মিশনের রেডিয়েশন এক্সপোজার লেভেল (mission's radiation exposure level) রেকর্ড করবে।

আবার অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিসেন্ট অ্যালেক্সাও (Alexa) এই মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অ্যালেক্সার অন্য ভার্সন ক্যালিস্টো (Callisto) নামের ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা হবে যে মহাকাশে এই ধরনের ডিভাইসের কাজ করার কতটা দক্ষতা রয়েছে। মহাকাশচারী এবং ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা কীভাবে তাদের কাজকে আরও দক্ষতার সঙ্গে এবং নিরাপদে করতে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারে তা দেখাই এর লক্ষ্য।

এই স্পেসক্রাফটে স্নুপি (Snoopy) নামের একটি খেলনাও পাঠানো হবে। আমেরিকান কার্টুনিস্ট চার্লস এম শ্লুজ (Charles M. Schulz) এই খেলনাটিকে একেছিলেন। তিনি এটি প্রথম নাসা-এর অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সময় একেছিলেন এবং তারপর থেকেই স্নুপি মহাকাশ সংস্থার মিশনের সাথে যুক্ত। এদিকে স্নুপি খেলনাটি স্পেসক্র্যাফটের ভেতরে জিরো গ্র্যাভিটি ইন্ডিকেটর (Zero Gravity Indicator) হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

প্রসঙ্গত, চাঁদে শেষবার মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনে। পাঁচ দশকের পর আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা (NASA)। সে পরিকল্পনায় প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles