মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র-সহ অসম দিয়ে প্রবাহিত প্রায় সমস্ত নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে পড়ারও খবর মিলেছে। কয়েকটি অঞ্চলে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। অসমের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসমের ১০ জেলার অন্তত ৩৮ হাজার মানুষ। এই মরসুমের ফসলও নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা।
আরও পড়ুন: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস
কী বলছে কেন্দ্রীয় জল আয়োগ?
কেন্দ্রীয় জল আয়োগ (সিডব্লুসি) সূত্রে খবর, কয়েকটি জেলায় জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যেমন, জোরহাট জেলার নেমাতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামপুরে কোপিলি এবং কামরূপে পুটিমারি নদী বিপদসীমা পেরিয়েছে। অসমের অন্যান্য নদীও দু’কুল ছাপিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অসমে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। তার ফলেই বেশির ভাগ নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার। অসমের বিভিন্ন জেলায় একাধিক রাস্তা ভেঙে পড়েছে জলের তোড়ে। ভেঙেছে নদীর উপরের সেতু। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু স্কুলও।
কী বলছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর?
অসমের (Assam Flood) বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১০ জেলার ৩৭,৫৩৫ জন মানুষ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গুয়াহাটিতে জমি ধসে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। তবে বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।’’ জানা গিয়েছে, অসমের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হল বিশ্বনাথ, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, তামুলপুর এবং উদালগিরি। অসম সরকারের তরফে রাজ্যে মোট ১১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি ত্রাণশিবির চলছে লখিমপুরে এবং উদালগিরিতে দু’টি।
আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours