মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডি হেফাজতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারির পর থেকেই দলের অভ্যন্তরে তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই নিয়েই আজ বিকেলে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগেই পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, দলনেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, পার্থ আর তাঁর মন্ত্রিসভায় নেই।
তৃণমূল সূত্রে খবর, পার্থকে শিল্পমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে আনা হতে পারে ব্রাত্য বসুকে। অন্যদিকে পরিষদীয় মন্ত্রী হতে পারেন তাপস রায় বা নির্মল ঘোষ। এদিন বিকেল ৫টায় তৃণমূল ভবনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত ১০ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ।
আরও পড়ুন: সোনার 'সংসার'! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে
গত শনিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ। গ্রেফতারির পর ছ’দিন কেটে গেলেও তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবির এবং দলের অন্দরে দাবি উঠছে, পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে গেরুয়া শিবির।
[tw]
In my earlier tweet, I had expressed my opinion.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 28, 2022
Now, the party has taken up the issue.
Avishek Banerjee has convened party meeting today 5pm at TMC bhawan. I have been told to attend that meeting also.
So, as @AITCofficial has taken up the matter, I am deleting the personal one.
[/tw]
তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার পার্থকে দল থেকেই বহিষ্কারের দাবি তোলেন। নিজের ট্যুইটার একাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি এই বক্তব্য ভুল বলে মনে করা হয়, তাহলে আমাকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার দলের রয়েছে। আমি দলের একজন সৈনিক হিসাবে লড়াই চালিয়ে যাব’। যদিও, পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবিতে আগের ট্যুইট সরিয়ে নেন কুণাল ঘোষ। দ্বিতীয় ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লেখেন, আগের ট্যুইটে ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছিলাম। দল এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডেকেছেন। আমাকেও বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দল বিষয়টি গ্রহণ করায় আমার ব্যক্তিগত পোস্ট মুছে দিচ্ছি।
+ There are no comments
Add yours