মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর অভিযোগে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) জেলে ভরা হল এক বাঙালি দম্পতিকে। বাদ যায়নি তাঁদের বছর দেড়েকের শিশুও। অভিযোগ, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) বাংলাভাষায় কথা বলায় তাঁদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তকমা দেওয়া হয়েছে।
পেটের তাগিদে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) কাজে গেছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের পলাশ অধিকারী
পেটের তাগিদে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) কাজ করতে গেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার জামালপুরের বাসিন্দা পলাশ অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন পুত্র, স্ত্রী, বৌমা ও ছোট নাতি। জানা গেছে, সেখানে রাস্তায় প্লাস্টিক, বর্জ্য পদার্থ , আবর্জনা পরিষ্কার করে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখার কাজ করতেন এক এজেন্টের অধীনে।
আরও পড়ুন: দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রায় ৩২,০৮৬ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুমোদন
ভাড়া বাড়ি থেকেই আটক করা হয় তাঁদের
জানা গেছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবার, সেখান থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে বেঙ্গালুরু পুলিশ, তাঁরা সেখানে বাংলাভাষাতে কথা বলায় পুলিশ তাঁদের সন্দেহের জেরে আটক করে বলে দাবি । পলাশের বৃদ্ধ বাবা মা ও তাঁর প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও জেলে রয়েছেন পলাশ ও তাঁর স্ত্রী ।
বেআইনি গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোচ্চার বিভিন্ন মহল
বিনা অপরাধে পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্র এখনও বেঙ্গালুরুতে কেন জেলবন্দি তা নিয়ে বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মাস চারেক আগে কর্ণাটকের ভারথুর থানার পুলিশের তিনজন আধিকারিক জামালপুরে আসেন। পলাশ ও তাঁর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিক কিনা যাচাই করার জন্য তাঁরা স্থানীয় বিডিওর কাছে যান। পলাশবাবুর পরিবারের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডটি সঠিক কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয় স্থানীয় বিডিও অফিসে। পরে, তাঁদের নাগরিকত্বের সমস্ত তথ্য ও নথি ইমেইলের মাধ্যমে ভারথুর থানায় পাঠানো হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours