Ram Mandir: শাড়িতেই রামায়ণ ফুটিয়ে তুলে রাম মন্দিরের পথে পাড়ি বাংলার তাঁতশিল্পীর

নিজের তৈরি শাড়ি রাম মন্দিরে উৎসর্গ করতে চান বাংলার তাঁতশিল্পী
Untitled_design_-_2024-01-20T161620342
Untitled_design_-_2024-01-20T161620342

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শাড়ির ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণের কাহিনী। এবার সেই শাড়ি অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) সীতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রওনা দিলেন নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রামের এক যুবক। শাড়িটি বিক্রির জন্য প্রচুর টাকা অফার পেয়েছেন। কিন্তু, তিনি শাড়িটিকে বিক্রি করেন নি। হবিবপুরের রাঘবপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পিকুল রায়। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর নিজস্ব একটি শাড়ির দোকান রয়েছে। দীর্ঘ এক বছর আগে থেকেই শুরু করেছিলেন ওই শাড়িটি তৈরি করা। কোনওরকম প্রিন্ট বা ছাপা নয়, শাড়ির ওপর নিজের কর্মদক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণের কাহিনী। যেখানে রয়েছে রাম এবং সীতার ছবি। তাঁদের বনবাস গল্প রয়েছে ওই শাড়ির মধ্যে।

শাড়ি তৈরি করতে এক বছর লেগেছে (Ram Mandir)

দুই দিন বাদেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে বিজেপি এবং বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের তরফে বিভিন্ন উৎসব পালন করছে। কোথাও নাম সংকীর্তন আবার কোথাও বিভিন্ন রাম-সীতা মন্দির পরিস্কার করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দিনটি যাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাম নাম করে উদযাপন করা যায় তা নিয়েও সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশের বহু নামিদামি মানুষ আছে যারা অযোধ্যার রাম মন্দিরকে উৎসর্গ করে টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করেছেন। এবার নিজের হাতে তৈরি সেই রামায়ণ রচয়িতা শাড়ি রাম মন্দিরের উৎসর্গ করতে চান পিকুলবাবু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রায় এক বছর আগেই রামায়ণের গল্পটি শাড়ির ওপর বসানোর চিন্তাভাবনা আসে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমি এক বছর আগে থেকে এই শাড়ি তৈরি করতে শুরু করি। শাড়িটি তৈরি হওয়ার পর অনেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু. আমি তাতে রাজি হইনি। এই শাড়িটিকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে দিতে চাই।

ট্রেনে করে অযোধ্যা রওনা তাঁতশিল্পীর

অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পিকুলের দাদা অনন্ত রায়। ট্রেনে করে তাঁরা রওনা দিয়েছেন। অনন্তবাবু বলেন, আমার ভাই বিষয়টি আমাকে জানাই এবং আমি অত্যন্ত খুশি হই। সে নিজের হাতে রামায়ণের ইতিহাস বর্ণনা করেছে, সেই শাড়ি রাম মন্দিরে দান করবে। সেই কারণে আমিও ভাইয়ের সঙ্গে রওনা দিয়েছি। অন্যদিকে, পিকুল রায়ের এই উদ্যোগে খুশি প্রতিবেশীরাও। তাঁরা বলেন, পিকুলের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। তিনি যাতে সফলভাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে পৌঁছে শাড়িটিকে দান করতে পারেন সেই প্রার্থনা করছি।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles