Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

অভিযোগের নিশানায় সেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল...
tmc_isf
tmc_isf

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতাকা টাঙানো নিয়ে তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হয়েছেন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালা এলাকায়। আইএসএফের অভিযোগের নিশানায় সেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু পক্ষের চারজনকে আটক করেছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ।

লড়াইয়ের নেপথ্যে...

এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের এই খাসতালুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসায় আইএসএফ। তিনি ছিলেন কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফের জোট প্রার্থী। তৃণমূলকে হারিয়ে আইএসএফ জয়ী হওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আচমকাই সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। আইএসএফ নেতা (Bhangar) আবু হোসেন মোল্লার অভিযোগ, ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলাম। সেই সময় আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে। তিনি বলেন, পুলিশ এসে আমাদেরই দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ওরা লাঠি দিয়ে মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে আমরা ওদের মেরেছি।

আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়।

ঘটনায় দায়ী আইএসএফ, বলছে তৃণমূল। হাকিমুল বলেন, আইএসএফের কয়েক জন নেতা দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিল। সেই সময় তারা আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে তাদের দলীয় পতাকা টাঙায়। তারা আরাবুল ইসলামের নামে গালাগালি দেয়। তার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ইটবৃষ্টি করে। আমাদের কর্মীদের বন্দুকের বাঁট, ইট, রড দিয়েও মারধর করে।

বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ভাঙড়ে (Bhangar) সংঘর্ষের ঘটনায় দু পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দু পক্ষের কয়েকজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভাঙড়ের এই ঘটনায় চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। তাদের আশঙ্কা, ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিরোধীদের দমাতে ততই ‘ব্যবস্থা’ নেবে রাজ্যের শাসক দল। তার ফলে হবে সংঘর্ষ। ঘটবে রক্তপাতের মতো ঘটনাও।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles