মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর (Karpoori Thakur)। মঙ্গলবারই একথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সাল হল কর্পূরী ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ। যিনি বিহারে জননায়ক নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁকে জনগণের নেতা বলা হত। জন আন্দোলন, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের মর্যাদা এবং সম্মানের দাবিতে তাঁর লড়াই, তাঁকে বিহারের জনগণের নেতা বানিয়ে তুলেছিল।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন কর্পূরী ঠাকুর (Karpoori Thakur)। তিনি প্রয়াত হন ১৯৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। বিহারের পিছিয়ে পড়া মানুষের নেতা হিসেবে উঠে আসেন তিনি। বিহারের পিতাউনঝিয়া যা বর্তমানে পরিচিত কর্পূরী গ্রাম নামে। বিহারের সমস্তিপুর জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তিনি জেলও খেটেছেন। স্বাধীন ভারতে ১৯৫২ সালে তিনি প্রথমবারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি নির্বাচিত বিধায়ক পদেই ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি সাংসদ হন। একমাত্র ১৯৮৪ সালেই তিনি নির্বাচনে পরাস্ত হন। কারণ সেবার ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে সহানুভূতির হাওয়া তৈরি হয়। ১৯৬৭ সালের ৫ মার্চ থেকে ১৯৬৮ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন কর্পূরী ঠাকুর। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির। কিন্তু ছয় মাসের মাথায় সরকারের পতন হয়। পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালে জুন মাসে তিনি আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।
কর্পূরী ঠাকুরের জনস্বার্থ নীতি
বিহারে দীর্ঘদিন প্রশাসক থাকার সুবাদে তিনি অনেক রকমের নীতি গ্রহণ করেছিলেন। যেমন ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক বিষয় থেকে বাদ দেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়। মদ্যপানের উপর প্রতিবন্ধকতা লাগানো তাঁর কৃতিত্ব ছিল। সে সময় বিহারের বেকার ইঞ্জিনিয়াররা আন্দোলন শুরু করলে তিনি তাদের দাবিকে মান্যতা দেন এবং আট হাজার জন চাকরি পান। তাঁর আমলে বিহার সরকার ১৯৭০ সালে নিয়োগ করে মুঙ্গেরিলাল কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২৮ টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করে নামকরণ করা হয়। যাদের মধ্যে ৯৪টি ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়। জনতা পার্টির সরকারের আমলে কর্পূরী ঠাকুর (Karpoori Thakur) সংরক্ষণ নীতি আনেন। যা কর্পূরী ঠাকুর ফর্মুলা নামে পরিচিত। এখানে ২৬ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়। যেখানে ওবিসিরা পায় ১২ শতাংশ সংরক্ষণ, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ওবিসিরা পায় ৮ শতাংশ সংরক্ষণ, মহিলাদের দেওয়া হয় ৩ শতাংশ সংরক্ষণ এবং উচ্চ বর্ণের জন্য থাকে ৩ শতাংশ সংরক্ষণ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours