Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

সেই সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বিলকিস।
bano-1136369-1660578860
bano-1136369-1660578860

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা জেলের বাইরে বের হল গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা বন্দিরা৷ গোধরা পরবর্তী হিংসায় (Gujarat Riots 2002) বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম (remission policy) অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। এবং তারই ভিত্তিতে ওই ১১ জন দোষীকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হল।

সূত্রের খবর, দোষীদের মধ্যে এক জন সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কোর্টের নির্দেশ মতো গঠন করা হয় একটি কমিটি৷ তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বললেন রাষ্ট্রপতি

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফ্রেবুয়ারি, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। এরপর ৩ মার্চ বারিয়া নামক গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেসময় গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর বাকি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুনও করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছয়জন। এই ঘটনার পরেও দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিলকিস। ফলে মামলাটি আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআই আদালত ২০০৮ সালে ওই ১১ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ডের দেয়। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি জমায়েত ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য সাত জনকে। আর শুনানি চলাকালীনই মৃত্যু হয় এক জনের। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষতিপূরণবাবদ বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা, চাকরি এবং বাড়ি দিতে হবে বলে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles