BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

BJP: ভোট পরবর্তী হিংসার জের! বিষ দিয়ে বিজেপি নেতার বিঘার পর বিঘার ধানের জমি নষ্ট
BJP_(93)
BJP_(93)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার রামগোপালপুর অঞ্চলের হরেন্দ্রনগর ঠাকুরচক গ্রামে। বিজেপি নেতার নাম হরেন্দ্রনাথ কামিলা। তিনি বিজেপির স্থানীয় অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঠিক কী অভিযোগ?

বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথবাবুদের যৌথ পরিবার। অন্যান্য ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। সেই জমিতেই হরেন্দ্রনাথবাবু সহ অন্যরা ধান চাষ করেছিলেন। বিঘার পর বিঘা জমিতে ঘাস মারার বিষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বিঘা চাষের জমি এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সকাল বেলা স্থানীয় বাসিন্দারা জমির এমন অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি খবর দেন বিজেপি নেতা ও তাঁর দাদা বাদল কামিলাকে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে পৌঁছে তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমিতে  ধান চাষের বীজ চাষ করেছিল ওই কামিলা পরিবার। সারাবছর চাষবাসের ওপর নির্ভর করেই সংসার চলে ওই চাষি পরিবারের। কিন্তু কীভাবে চলবে সারাটা বছর অঝর নয়নে কেঁদে চলেছেন বিজেপি নেতার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মা দ্রৌপদী কামিলা।

কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথ কামিলা বলেন, আমি বিজেপির এই অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেছি। ভোট শেষ হওয়ার পরই বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দেওয়া হল। পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই কাজ করেছে। এই ঘটনায় ঢোলাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি সত্যেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, যারা দোষ করেছে তারা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। তবে, শাসক দল এমন ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবে, প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েতে বিজেপি করার জন্যই কী পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হল, না এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles