মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমির মাফিয়ারাজ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করল বিজেপি। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হতেই ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে জমি মাফিয়াদের সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করার ঘটনায় শিলমোহর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর এই সরব হওয়া ও দলের প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করানোর ঘটনার পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে বিজেপি। শিলিগুড়ি জুড়ে জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপি বিধায়ক (Siliguri)
শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষও এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব দেখাচ্ছেন তাতে মনে হয়, ২০১১ সালে তিনি শপথ নেওয়ার পর বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। এখন ফিরে এসে তিনি জানতে পারছেন, তাঁর দলের নেতারা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেকে বাঁচাতে ও সৎ প্রমাণ করতে তাঁর দলের নিচুতলার কর্মীদের বলির পাঁঠা করছেন। সৎ সাহস থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই জমি মাফিয়ারাজে যারা যুক্ত তাদের সকলকে গ্রেফতার করুন। শুধু আইসি-ওসি নয়, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও যেন রেহাই না পান।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের
ওসি, আইসিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে!
দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রথমে ঠিক করে বলতে পারেনি কোন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে মান্যতা দিতে জমি কেলেঙ্কারির দিকটি প্রকাশ্যে আনা হয়। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। কেননা দেবাশিস ও তাঁর বাহিনী দিনের পর দিন এভাবে সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে দিয়েছে, তা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানতেন না, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের উঁচুতলরার কর্তাদের বাঁচাতে এনজেপি থানায় এই সময়কালে যারা ওসি, আইসি ছিলেন তাদের ভূমিকা নিয়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কী বলছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়?
বিজেপি (BJP) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশের মদতে তৃণমূল নেতারা এখানে বুক ফুলিয়ে জমির কারবার ফেঁদেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা যদি বলেন, তারা জানতেন না তাহলে তারা এই চাকরি করার যোগ্য নন। সব থেকে বড় কথা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পরিবার আদিগঙ্গায় জমি দখল করে রেখেছে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। তাই, শিলিগুড়ির এই জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours