BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

দুই সম্প্রদায়ের হুঁশিয়ারিতে যারপরনাই বিব্রত তৃণমূল নেত্রী...
Suvendu_Adhikari_(2)
Suvendu_Adhikari_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল সংশোধন না করলে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন গাইঘাটার বিধায়ক বিজেপির (BJP) সুব্রত ঠাকুর। কেবল মতুয়ারা নন, তৃণমূল সুপ্রিমোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজবংশীরাও। দুই সম্প্রদায়ের এহেন হুঁশিয়ারিতে যারপরনাই বিব্রত তৃণমূল নেত্রী। নেত্রীকে বাঁচাতে দলের তরফে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়েছে বটে, তবে তাতে যে কাজ হয়নি, সুব্রতর হুঁশিয়ারিতেই তা স্পষ্ট।

তৃণমূল নেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

২৮ অগাস্ট ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্বশরীরের এক একটি অঙ্গের সঙ্গে তুলনা করছিলেন এক একটি জাতিকে। মতুয়া ও রাজবংশীদের তিনি তুলনা করেন তাঁর পায়ের সঙ্গে। তৃণমূল নেত্রীর এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। মমতার বক্তব্যের নিন্দা করে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

ক্ষোভ উগরে দিলেন মতুয়ারা

বুধবার ক্ষোভ উগরে দেন মতুয়ারাও (BJP)। মতুয়া মহাসংঘের মহাসংঘাধিপতি তথা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, “এর আগেও উনি (মমতা) আমাদের ঠাকুর সম্পর্কে বিকৃত মন্তব্য করেছেন। সমাজের পিছিয়ে রাখা মানুষগুলোকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে যাচ্ছেন। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের শোভা পায় না। আমরা রাজবংশীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবাদ করব।” তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুুন: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

তিনি (BJP) লিখেছেন, “রাজবংশী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল গিয়ে ‘রাজকীয় সম্প্রদায়’ অথবা ‘রাজার বংশধর’। ব্যুৎপত্তিবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারীদের একটি ধারা রাজবংশী জনজাতিগোষ্ঠীর সূচনা করেছিলেন। রাজবংশীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় তাঁদের নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করে দিলেন। করতে পারলেন এমন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে বিভিন্ন সম্প্রদায় কতটা প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা বোঝাতে গিয়ে উনি নিজের দেহের অংশবিশেষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তাহলে কাউকে প্রশংসা করার জন্য নয়নের মণি, হৃদয় অথবা কর্মঠ বাহুর সঙ্গে তুলনা টানতেন। কখনও শুনেছেন কাউকে পায়ের সঙ্গে অথবা নখের সঙ্গে তুলনা করতে, প্রশংসাসূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে? কেউ তা করেন না। কারণ তা অপমানের শামিল বলেই গণ্য হয়।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles