মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার। ডেঙ্গি-তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ওই অভিযানে শামিল হন প্রচুর বিজেপি কর্মী-সমর্থক। ব্যারিকেড ভেঙে পুরসভায় যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। বাধা দেয় পুলিশ। এর পরেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। এদিন সকালে দলীয় সদর দফতর মুরলিধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে কলকাতা পুরসভা অভিমুখে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা। মাঝপথেই পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এদিন অভিযানে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, সজল ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন।
ডেঙ্গি নির্মূল করতে যথাযথ কাজ করছে না কলকাতা পুরসভা। এই অভিযোগ তুলে এদিন বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে পুরসভার দিকে এগোতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। সেখানেই প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী ও পুলিশের আধিকারিকরা। এর পরেই রাস্তায় অবস্থানে বসেন অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিতরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। ঘটনার জেরে প্রথমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ের একাংশ। পরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলামুখী রাস্তাও।
আরও পড়ুন: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর
অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul) বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে ডেঙ্গি যেভাবে বেড়েছে, তাতে রাজ্য সরকার উদাসীন। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায়ই মারা গিয়েছেন ৫০ জন। কোভিডের সময় যেভাবে রাজ্য সরকার তথ্য কারচুপি করেছিল, এ বারেও তাই হচ্ছে। কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, কতজন মারা গিয়েছেন, কেউ জানে না। তাঁর দাবি, সব তথ্য সরকারের ওয়েবসাইটে জানানো হোক।
বিজেপির অভিযোগ, যেভাবে রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি ভয়াল রূপ নিয়েছে, তার পরেও নীরব ভূমিকা পালন করছে রাজ্য সরকার তথা কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও অন্যান্য বছরের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তবুও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কোনও হেলদোল নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। এদিন অগ্নিমিত্রা ছাড়াও বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, ইন্দ্রনীল খাঁদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে।
+ There are no comments
Add yours