মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের আলোয়ারে (Alwar)একটি ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরের ছাদ ও পিলার। এমনকী মন্দিরের ভেতরে থাকা শিবলিঙ্গটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। রাজস্থানে কংগ্রেস একপ্রকার তালিবান রাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর। ঘটনার পিছনে থাকা সত্য জানতে শনিবার আলোয়ারের রাজগড়ে পৌঁছেছে বিজেপির পাঁচ সদস্যের একটি তথ্য অনুসন্ধাকারী দল। তাদের দাবি মন্দিরের পাশে একটি গোশালাও ছিল। সেটাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে সকলের সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। মন্দির পুনরায় গড়ে দিতে বলা হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়, যেটিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে রাজস্থান বিজেপি। তাদের দাবি, কংগ্রেস যে কতখানি ধর্মনিরপেক্ষ তা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। কারাউলি বা জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনায় যে দল দুঃখ প্রকাশ করে, তাদের সরকার থাকাকালীনই রাজস্থানে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস হচ্ছে। আগুনে ঘি ঢালে এক স্থানীয় বিধায়কের বিবৃতি। ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, কংগ্রেস শাসিত পুরসভা চাইলে এই কাজ আটকাতে পারত। রাজস্থান বিজেপির দাবি, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার বদলা নিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে গেহলট সরকার।
একই সঙ্গে রাজগড়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের জন্য বেশ কিছু ঘরও ভাঙা পড়েছে। গৃহহীন বহু মানুষ। বিজেপির অভিযোগ,আগাম নোটিশ না দিয়েই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচরিয়াবাস জানিয়েছেন, বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁর দাবি, ‘রাজগড় আরবান বডিস বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান নিজে বিজেপির সদস্য। যে কর্মসূচির দরুন মন্দির এবং ঘর ভাঙা পড়েছে, তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। বরং কংগ্রেসের বিধায়কই এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। মন্ত্রী জানান, যদি আইনি কোনও অসুবিধা না থাকে তবে এই মন্দির পুনরায় গড়ে তোলা হবে।
+ There are no comments
Add yours