মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ বছর আগে খুন হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় এবার অভিজিতের মা ও ভাইয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দীর্ঘদিন ধরে নিহত অভিজিতের মা ও ভাই নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে।
বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ
অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মী। অভিজিৎ খুনে যাঁরা জেলবন্দি, তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিজিতের বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এই ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরেই সোমবার ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশে তিনি বলেন, “এই খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী দু’জন। মৃতের মা ও ভাই। আগেও দু’বার তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নারকেলডাঙা থানা।”
সিসিটিভির ফুটেজ
আগে হাইকোর্টের নির্দেশেই পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছিল সরকার পরিবার। অভিযোগ, যিনি নিরাপত্তা দিতে আসতেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে আসতেন। কখনও আবার পুলিশের উর্দি নয়, নিরাপত্তা যিনি দিতে আসতেন, তাঁর গায়ে থাকত সাধারণ পোশাক। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে সিসিটিভির ফুটেজও জমা দেন অভিজিতের ভাই। অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে পুলিশ। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ।
আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের করিৎকর্মা কর্মীরা। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। অভিযোগ, এহেন আবহে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছে তাঁর পরিবার। ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। তার পরেও মাঝে মধ্যেই সরকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনের পরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হন। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours