মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে প্রায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হল। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ১৯ শে মে, শুক্রবার দুপুর ১ টায় এই মামলার রায়দান করবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট (Calcutta High court)।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ
অভিযোগ, সাত বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন৷ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের পক্ষের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। এদিনের শুনানিতে পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ছত্রে ছত্রে ভুল রয়েছে। যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে মামলাকারীদের আবেদনের উল্লেখ করা হয়নি। আদালত (Calcutta High court) এক্ষেত্রে প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেছে। একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই স্পাইরাল বাইন্ডিংয়ের তথ্য হলফনামা আকারেও পেশ করা হয়নি।’
ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানি
মঙ্গল এবং বুধ-পর পর ২দিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High court)। বুধবার প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা শুনানি হয়েছে। এদিন চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকেরা। তাদের বক্তব্যও শোনা হোক এই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ?” এর পরই কল্যাণের প্রশ্ন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে আছেন। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহণ করা যায়?”
আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের
এদিন আদালতে (Calcutta High court) এই মামলার মূল মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্করের আইনজীবী বলেন, ‘পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাছাড়া বারবার বলা হচ্ছে চাকরি হারানোদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। একথা ঠিক নয়। বক্তব্য শোনার জন্য সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন ছয় বছর পর মামলা করা হল? এক্ষেত্রে বলতে হয় পর্ষদ কোনও দিনও ২০১৬ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে আনেনি। আদালতে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পর মামলাকারীরা যখন তথ্য খতিয়ে দেখার সুযোগ পান তখন সমস্ত বিষয় সামনে আসে।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours