মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাওড়ার একটি বেআইনি নির্মাণের ঘটনায় প্রোমোটারকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী তিনমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দাদের আবাসন খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তারপরই আবাসনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
গার্ডেনরিচ (Garden Reach) বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনার পরই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। গার্ডেনরিচের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করলেন। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্তদের ভাল শিক্ষা দিতে হবে। যাতে আগামীতে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়'। বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) মন্তব্য, 'আদালত চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না, বিচার না দিলে অন্যায় করা হবে। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর ডিভিশন বেঞ্চের কোন স্থগিতাদেশ নেই।’’ শুধু তাই নয়, ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে না চাওয়া অভিযুক্তের জরিমানা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করল আদালত। বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে পুরসভার আপ-টু-ডেট যন্ত্রপাতি রয়েছে কিনা তাও এদিন জানতে চান বিচারপতি। এ বিষয়ে পুর কমিশনারের থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা তলব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভোটের কালি সহজে ওঠে না, জানেন কোথায় তৈরি হয় এই বিশেষ রঙ?
কড়া নির্দেশ বিচারপতির
আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল একটি পাঁচতলা আবাসন। শুধু তাই নয় সেই আবাসনটির প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দরে বিক্রি করে দেয় প্রোমোটার। নির্মাণটিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, মামলা চলাকালীনই একতলা থেকে সেটিকে পাঁচ তলায় রূপান্তরিত করে দেন প্রোমোটার। এদিন মামলার শুনানিতে গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, 'আদালত এতদিন নরম ছিল তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে তাতে আদালত আর কোন বেআইনি নির্মাণকে রেয়াত করবে না।' আবাসনের বাসিন্দারা এদিন আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চান। তাঁদের দাবি ছিল, ব্যাঙ্ক লোন করে সর্বস্ব দিয়ে ফ্ল্যাটগুলি কিনেছেন। ফ্ল্যাটটি খালি করতে তাঁদের অন্তত এক বছর সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha)। ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours