Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

পুরুলিয়ার সব স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষকের অনুপাতের হিসেব চাইল হাইকোর্ট।
10_10_2022-calcutta_high_court_23130782
10_10_2022-calcutta_high_court_23130782

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তো ছিলই, এবার শিক্ষকদের বদলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Corruption) উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বিচারপতির নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক বদলি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি এই  মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর? 

সোমবার পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। স্কুল পরিদর্শক জানান, "বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি (Corruption) নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র - শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছেনা। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন।" এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পুরুলিয়ার সব স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষকের অনুপাতের হিসেব চেয়ে পাঠান।

আদালতের পর্যবেক্ষণ  

স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "পড়ুয়াদের কথা না ভেবেই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনেও কি দুর্নীতি (Corruption) রয়েছে? আদালতের পর্যবেক্ষণে বলে, এমন বদলির কারণে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অনেক স্কুল। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় যেখানে সরকারি স্কুলই ভরসা। সেখানে এমন চললে শিশুরা সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

এদিন পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষক সোমনাথ মণ্ডলের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, "খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ জন ছাত্র আছে৷ সেখানে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জনকে অন্যত্র বদলির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ওই স্কুলে এখন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন ! এর পিছনে অন্য বিষয় (Corruption) আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার৷’’

প্রসঙ্গত, শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতি (Corruption) হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও শিক্ষক বদলির মামলায় শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ বার শিক্ষক বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles