Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা...
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকছে বিষ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশও রাজ্যকে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি চালিয়ে বেআইনি পানীয় জলের কারখানাগুলি বন্ধ করারও।

রাজ্যের রিপোর্ট তলব

বছর কয়েক ধরে প্যাকেজড ড্রিংঙ্কিং ওয়াটারের রমরম ব্যবসা চলছে। সেই জল আদৌ পরিস্রুত কিনা বা পানের যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, বেআইনি পানীয় জলের কারবার রুখতে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বেআইনি প্যাকেজিং ড্রিংঙ্কিং ওয়াটার কারখানা।  

বেআইনি পানীয় জলের কারখানা

মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যে যত্রতত্র কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শোধন করে বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই সব কারখানা চালানো হচ্ছে। তার পরেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য জানায়, রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ৩৪০টি কারখানার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮০টি নমুনা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না আদালত। তাই রাজ্যে কতগুলি জল তৈরির কারখানার লাইসেন্স রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles