মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘেরাও তুলে নেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। যদিও ঘেরাও তুললেও তাঁরা কিন্তু আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার ৭ ডিসেম্বর দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হচ্ছে। যদি কর্তৃপক্ষ পূর্ব নির্ধারিত আগামী ২২ ডিসেম্বর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিধি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) ঘোষণা না করেন তবে তাঁরা আমরণ অনশনে সামিল হবেন।
ছাত্রদের দাবি
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি কর্তৃপক্ষ। আলাপ আলোচনার পর আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এরপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা না পেয়ে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। পূর্ব নির্ধারিত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন চেয়ে পড়ুয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করেন। মঙ্গলবার বিকেলে নার্সিং সুপার এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের প্রশাসনিক ব্লকে আটকে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্লকের গেট খুলে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানকে ছেড়ে দেন তাঁরা। কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা
রোগী পরিষেবা
ছাত্র বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজন। প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতরেও ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছচ্ছে না, সকাল থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ বন্ধ। স্থগিত ছিল অস্ত্রোপচারও বলে দাবি করেন বেশ কিছু রোগীর পরিজনেরা। তবে দেড় দিন পর ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে বিভাগীয় প্রধানরা রোগী দেখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা ফের অনশনে বসলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours