মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ৬০টি জমির ডিড মিলেছে শুধু ডোমকলেই। সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলকে ঘিরে অন্তত ১৪ জনের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ১৪ জনের গ্যাং ধরা পড়লেই আরও কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গলের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তাঁর সঙ্গতকারীদের মধ্যে ডোমকলের ব্রিজ মোড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নজরে রাখা হয়েছে। জমির কাগজ, সোনাদানা বা নগদের বিস্তারিত বিবরণ তাঁর কাছে আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ডোমকলের রসুলপুর, ডোমকল বিডিও মোড়, ডোমকলের ভাদুরিয়া পাড়ার আরও ছয় যুবকও রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে।
আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?
জানা যাচ্ছে, দুবরাজপুরের দুই ব্যক্তি, সিউড়ির হাটজানবাজারের এক যুব তৃণমূল নেতা, ইলামবাজারের দুই তৃণমূল নেতা, রানিনগর শেখ পাড়া এবং ইসলামপুরের নাজিরপুরের দুই যুবকও ছিলেন সায়গল সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক। তদন্তকারীদের দাবি, এই ১৪ জন তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই সায়গল অপারেট করত। গ্রেফতারির পর এঁদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে আজ না হয় কাল গরু, কয়লা, পাথর, বালির সাম্রাজ্যে হানা দেওয়া হলেই এরা ধরা পড়বেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
এদের মধ্যে দু-এক জন ইতিমধ্যেই তদন্তে সহযোগিতাও করছেন। সেই কারণেই সায়গলের ৬০টির বেশি জমির ডিড, ছটি বাড়ি-ফ্ল্যাট, পেট্রল পাম্প, রিসর্ট, ডাম্পার, অজস্র মোটরবাইক, চারচাকা, সোনা, নগদ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুত আরও সম্পত্তি উদ্ধার হতে চলেছে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন
তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, যদি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকেই এত টাকা-সম্পত্তি উদ্ধার হয়, তা হলে আরও বড় চাঁইরা ধরা পড়লে কী পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া যাবে। গরুপাচার (Cattle smuggling) চক্রে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারি সামনের দিনে হতে চলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
+ There are no comments
Add yours