মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের তলব (Summon) করল সিবিআই (CBI)। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারই দিতে হবে হাজিরা। এবার কী করবেন অনুব্রত? প্রতিবারের মত এবারেও কী সিবিআই জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত প্রস্তুত রেখেছেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এই নেতা? নাকি এবার আর শেষ রক্ষা হবে না?
আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে?
অনুব্রত-সিবিআই লুকোচুরি চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। সিবিআই তলব প্রতিবারই কোনও না কোনও ভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট। আর প্রতিবারই বাহানা শরীর খারাপের। গতকালও সিবিআই জেরা থেকে বাঁচতে এসেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি হতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, সুস্থ আছে কেষ্টা। এবার অসুস্থতার অজুহাতও কাজ করবে না। তাহলে কী এবার পার্থর মত অনুব্রতরও ঠাই হবে শ্রীঘরে? নাকি এক রাতেই নতুন কোনও ফন্দি এঁটে ফেলবেন অনুব্রত?
আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আগামীকাল সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে ( Nizam Palace ) হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে দিল্লি থেকে এলেন সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। বৈঠক করবেন দুর্নীতিদমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর, এসপি পদমর্যাদার অফিসার ও গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে। তলব সত্ত্বেও গতকাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল।
সোমবার নিজাম প্যলেসে অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু সেদিন নিজাম প্যালেসের পরিবর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন তিনি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে পরিষ্কার জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ততটাও অসুস্থ নন তিনি। তারপরেই সিবিআই নির্দেশ দিয়েছিল হাসপাতাল থেকেই সোজা নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু সেই কথায় পাত্তা না দিয়েই অনুব্রত মণ্ডল চলে গিয়েছিলেন তাঁর কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে। সেখান থেকে যান বোলপুরের বাড়িতে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা জানিয়েছিলেন আবার সিবিআই তলব করলে তিনি যাবেন কিনা সেটা পরে জানিয়ে দেবেন। এবার বীরভূমে যেতে না যেতেই ফের তলব করা হয়েছে।
গতকাল অনুব্রতর চিনার পার্কের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না। তার আগেই, অনুব্রত বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছিলেন। সিবিআই যখন পৌঁছয়, ফ্ল্যাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলেই চলে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে নোটিস দেওয়া যায়নি তাকে। পরে অনুব্রতকে তলবের চিঠি ই-মেল করে পাঠিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, আজই বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে আসবেন সিবিআই অফিসাররা। এর পাল্টা কী কৌশল নেন অনুব্রত তাই দেখার।
মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত। এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেমে না যেতে পারেন অভিযুক্ত নেতারা, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিল সিবিআই। তারপরেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এখন আর চাইলেই এসএসকেএমের উডবার্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া যাবে না। আর এবার তাই আর এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারেননি অনুব্রত।
+ There are no comments
Add yours