Tomato Flu: করোনা, মাঙ্কি পক্সের পরে এবারে নতুন আতঙ্ক টোম্যাটো ফ্লু, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

টোম্যাটো ফ্লু নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এর কোনও ওষুধ নেই। 
taomaetao-sixteen_nine
taomaetao-sixteen_nine

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona), মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) পর নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে টোম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu)। ‘হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ (HFMD) বা টোম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। এবার ক্রমবর্ধমান এই উদ্বেগের মধ্য়েই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হল দেশের সমস্ত রাজ্যে। টোম্য়াটো ফ্লু নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। কারণ এখনও পর্যন্ত এর কোনও ওষুধ নেই। 

এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, এই রোগ সাধারণত ১-১০ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে হচ্ছে এবং কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে। সাধারণত ফ্লু-এর মতই এই রোগের লক্ষণ যেমন- জ্বর, গা হাত পা ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকে র‌্যাশ হওয়া ইত্যাদি।  কিন্তু এটির সঙ্গে সারস কোভ-২, মাঙ্কিপক্স, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এই রোগ থেকে মুক্তির প্রথম উপায় হল চারপাশে স্যানিটাইজ করা ও পরিস্কার রাখা। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে কমপক্ষে ৫-৭ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, সংক্রমিত শিশুর সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। জ্বর হয়েছে এবং ব়্যাশ দেখা গিয়েছে এরকম শিশুদের আলিঙ্গন করতে বারণ করুন নিজের সন্তানকে। এই রোগের জন্য এখনও কোনও ওষুধ, ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়নি।

আরও পড়ুন: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

গত ৬মে ২০২২- এ প্রথম এই রোগটি কেরলার কোল্লামে দেখা যায়। পাঁচ বছরের নীচের বয়সের ৮২টি শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়া ওড়িশাতেও ২৬ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু পাওয়া যায়। তবে কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা ছাড়া আর কোনও রাজ্যে এই রোগটি মেলেনি।

কী এই টোম্যাটো ফ্লু

এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় টোম্যাটো আকৃতির লাল ফোসকা। এর সঙ্গে ত্বকে জ্বালাও অনুভূত হয়। অন্যান্য ফ্লুয়ের মতই এই রোগের লক্ষণ। জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, ত্বকের ওপর র‌্যাশ ইত্যাদি। এছাড়া ক্লান্তি, বমিভাব, দুর্বলতা, ডায়েরিয়া, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি। প্রথমে জ্বর, মুখের ভিতর জ্বালা এবং ত্বকের ওপর র‌্যাশ দিয়ে শুরু হয়। অনেকসময় হাল্কা জ্বর, খিদে না থাকা এবং গলা ব্যাথাও হতে পারে। জ্বর হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই ফোসকা পরে এবং তারপর সেগুলি বড় হয় এবং ঘা হয়ে যায়। এগুলি সাধারণত জিভে, মাড়িতে, গালের ভেতর এবং হাতের তালুতে হয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles