মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আস্থাভোটে জিতলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। আজ, সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোট হয়। চম্পাইয়ের পক্ষে ভোট দেন ৪৭ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। দিন কয়েক আগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। আস্থাভোটে অংশ নেন হেমন্ত।
কত ভোটে জয়
৪৭:২৯ ভোটে জয়ী হয় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার জন্য চম্পাইকে ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে তিন দিনের মধ্যে আস্থাভোটে অংশ নেন চম্পাই। ঝাড়খণ্ড (Champai Soren) বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। ম্যাজিক ফিগার ৪১। স্পিকার বলেন, “আস্থাভোটের পক্ষে অংশ নেন ৪৭। বিপক্ষে পড়ে ২৯টি ভোট। এভাবেই আস্থাভোট পাশ হয়েছে বিধানসভায়।”
গ্রেফতার হেমন্ত
জানুয়ারির ৩১ তারিখে ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বিশেষ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এদিন আস্থাভোটে অংশ নিতে আসেন তিনি। ভারতের ইতিহাসে দিনটিকে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন হেমন্ত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৮.৫ একর জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে আমায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের যদি সাহস থাকে, তাহলে তারা আমার নামে জমির নথি দেখাক। যদি এটা প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
আরও পড়ুুন: বাংলা, বিহারের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও অশান্তি ইন্ডি জোটে!
পিএমএলএতে গ্রেফতার হন হেমন্ত। ২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন এই আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন হেমন্ত। তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দলেরই চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। দলের বিধায়কদের যাতে অন্য দল ভাঙিয়ে নিতে না পারে, তাই কংগ্রেস শাসিত হায়দরাবাদে উড়িয়ে নিয়ে চলে যাওয়া হয় কংগ্রেস এবং জেএমএমের বিধায়কদের।
চম্পাইয়ের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল হেমন্তর স্ত্রী কল্পনাকে। তা নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধে দলের অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন হেমন্তর প্রয়াত দাদার স্ত্রীও। শেষমেশ ওই পদে বসানো হয় চম্পাইকে (Champai Soren)। উতরে যান আস্থাভোটের গেরোও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours