মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থিকথিকে ভিড় ছত্তিশগড়ের স্পেশাল কোর্ট হল রুমে। সাংবাদিক, আইনজীবী এবং তিন আইএএস অফিসারের পরিবারের ভিড়ে ঠাসা ওই রুম। বৃহস্পতিবার এখানেই শুনানি চলেছে আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ, সুনীল আগরওয়াল এবং লক্ষ্মীকান্ত তিওয়ারির। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এই তিন আইএএস অফিসার। এদিনের শুনানি শেষে তিনজনকেই আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।
প্রশ্ন হল, কবে শুরু হয়েছিল ছত্তিশগড় সরকারে (Chhattisgarh Government) এই দুর্নীতির? দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতই বা কারা? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পরিবহণ করতে গিয়ে ওই টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ২০০৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ যখন জিওলজি ও মাইনিং ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ছিলেন, তখনই শুরু হয়েছিল দুর্নীতির। যে কোনও খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ম্যানুয়াল অ্যাপ্রুভাল বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। এই আদেশ বলে, স্বচ্ছ অনলাইন ব্যবস্থার বদলে খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে ডিএমের দফতরের মাইনিং সেকশন (Mining Secction) থেকে। এখান থেকেই শুরু দুর্নীতির। জনৈক সূর্যকান্ত তিওয়ারি ক্যাশ কালেক্টরদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের আটটি এলাকায়। কয়লার পরিবহণ পারমিট কিংবা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য যে লেভি আদায় করা হত, তার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল ডিএম অফিসও (DM Office)।
আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?
জানা গিয়েছে, ঘুষের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ডিএম অফিস থেকে দেওয়া হত না নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। ফলশ্রুতি হিসেবে, ছত্তিশগড়ের মধ্যে প্রতি টন কয়লা পরিবহণের জন্য দিতে হত ২৫ টাকা করে। আয়কর দফতর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, মাত্র ১৬ মাসে লেভি বাবদ আদায় হয়েছে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা। অবৈধভাবে আদায় করা এই টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়েছে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, আইএএস এবং অন্য কয়েকজন রাজ্যস্তরের আধিকারিকের মধ্যে। সমীরের বাড়ি থেকে নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা এবং ২১ লক্ষ টাকার অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথিও। ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে ২১ অক্টোবর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours