মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর! বেশ কিছুদিন ধরে এমন অবস্থাই ছিল পশ্চিমবঙ্গের। ডেঙ্গির দোসর হয়েছিল ম্যালেরিয়া। এবার মশকবাহিত এই দুই রোগের তালিকায় ঢুকে পড়ল চিকুনগুনিয়াও (Chikungunyia)। গোটা রাজ্যে এখনও সেভাবে চিকুনগুনিয়ার হদিশ না মিললেও, অল্প-স্বল্প রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, হুগলির কয়েকটি এলাকায় ফিভার ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষায় কয়েকজনের রক্তে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। ঘটনার জেরে উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
চিকুনগুনিয়া নিয়েও তথ্য গোপন!
বিরোধীদের দাবি, ডেঙ্গির মতোই চিকুনগুনিয়া নিয়েও তথ্য গোপন করছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোলকে সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, সব রাজ্য এবং দেশের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওয়েবসাইটে চিকুনগুনিয়া (Chikungunyia) সংক্রান্ত তথ্য মিললেও, বাংলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত নিয়ে কোনও তথ্য ওয়েবসাইটে নেই। ২০১৯ সালেও এ বিষয়ে কোনও তথ্য রাজ্য সরকার দেয়নি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ডেঙ্গি নিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করছে তারা।
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ
কেবল হুগলি নয়, মধ্য ও গ্রামীণ হাওড়ায় যে ফিভার ক্লিনিক চালু হয়েছে, সেখানেও কয়েকজনের রক্তে চিকুনগুনিয়া (Chikungunyia) ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, আবহাওয়া বদল হওয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো বাড়ছে চিকুনগুনিয়া। চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ ডেঙ্গির মতোই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রবল জ্বরের পাশাপাশি হবে গায়ে ব্যথাও। মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস শরীরে প্রবেশের দু’ থেকে চার দিনের মধ্যে হঠাৎই প্রবল জ্বর শুরু হয়। এর সঙ্গে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়, যা থাকে কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস। কয়েক বছরও থাকতে পারে ব্যথা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশাই চিকুনগুনিয়ার বাহক। এই মশা দিনের বেলায় কামড়ায়।
আরও পড়ুুন: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা এলাকায়ও বাড়ছে ডেঙ্গির দাপাদাপি। এমতাবস্থায় মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে ‘অফিস অফ প্রফিটে’র প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর অভিযোগ, পুরসভার কিছু বাসিন্দা তাঁকে জানিয়েছেন, পুরসভায় ফোন করা হলে জানানো হয় মেয়র রয়েছেন নবান্নে। আবার নবান্নে ফোন করা হলে বলা হয় মন্ত্রী রয়েছেন পুরসভায়। এমতাবস্থায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়ার (Chikungunyia)। তাই ক্রমেই চড়ছে আতঙ্কের পারদ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours