Indo-China Relation: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

চিনের চোখ রাঙানিকে অগ্রাহ্য করেই মোদি তাঁর টুইটে শুভেচ্ছা জানানোর কথা জানিয়েছিলেন।
Modi-Dalai
Modi-Dalai

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালিতে (Bali) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) থেকে সেনা সরানো নিয়ে বৈঠক করছে ভারত এবং চিন (Indo-China Meet)। এরই মাঝে দলাই লামাকে (Dalai Lama) কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হল। ধর্মগুরুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ফের দ্বিপাক্ষিক তিক্ততা তৈরি হল। বুধবার তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার জন্মদিনে, তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং।    

আরও পড়ুন: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

চিনের চোখ রাঙানিকে অগ্রাহ্য করেই মোদি তাঁর ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানানোর কথা জানিয়েছিলেন। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিনের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “চতুর্দশ দলাই লামার চিনবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূমিকার কথা ভারতের স্বীকার করা উচিত। তিব্বতের তাস খেলে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ভারত। ভারতের উচিত চিনের প্রতি দায়বদ্ধতাকে মাথায় রেখে বিচার-বিবেচনা করে কাজ করা।” 

আরও পড়ুন: শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি  
 
চিনের এই ঝাঁঝ বন্ধ মুখে সহ্য করেনি ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই মন্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, “ধর্মগুরু দলাই লামা ভারতের সম্মানীয় অতিথি। ভারত সরকার ধারাবাহিক ভাবে তাঁকে সে ভাবেই দেখে এসেছে। তিনি একজন সম্মানীয় ধর্মীয় নেতা এবং ভারতে তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ভক্তরা তাঁর জন্মদিন পালন করেন। ভারতে তাঁকে ধর্মীয় চর্চার সমস্ত স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দলাই লামার ৮৭তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকে এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।”    

দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাঁকেও ঝাও লিঝিয়াং মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘তিব্বতের বিষয়টি একান্তই চিনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ব্যাপারে কোনও রকম বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না বেজিং।” 

তিব্বতের সরকারের সঙ্গে অন্য দেশের সুসম্পর্ককে বরাবর চিন-বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখে এসেছে বেজিং। এর আগে তিব্বতি ধর্মগুরু ও নেতাদের ধর্মশালায় আলোচনাসভা আয়োজনের ছা়ড়পত্রও দিয়েছে ভারত। চিনের অভিযোগ, ওই সব সভায় তিব্বতে বিদ্রোহ উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়। ভারত অবশ্য় এমন অভিযোগকে কোনওদিনই গুরুত্ব দেয়নি। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles