মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল ড্রাগনের দেশ। বর্তমানে সেটাই কাল হয়েছে চিনের। এক সময় যে দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল তারা, সে সব দেশেই আক্রান্ত হচ্ছে চিন।
আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো যেসব দেশ চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে, সেসব দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন চিনা নাগরিকরা। গত মাসে পাকিস্তানে হামলায় অন্তত তিনজন চিনা নাগরিক খুন হন। ২৬ এপ্রিল বোরখা পরা বালুচ লিবারেশন আর্মির আত্মঘাতী বাহিনীর এক সদস্যের হামলায় নিহত হন তিন চিনা শিক্ষক। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একটি যাত্রিবাহী বাসে বিস্ফোরণ ঘটালে মারা যান তাঁরা। ওই ঘটনায় জখমও হন এক চিনা নাগরিক। এই বালুচ লিবারেশন আর্মি চিন পাকিস্তান ইকনমিক করিডর নির্মাণের ঘোরতর বিরোধী। তার প্রমাণ ২০২১ সালের একটি ঘটনা। ওই বছর পাকিস্তানের ডাসু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন ৯ জন চিনা প্রযুক্তিবিদ। ওই ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ওই বছরেরই শেষের দিকে অপ্রয়োজনীয় চেক পয়েন্ট অপসারণের দাবি এবং চিনা মাছ ধরার ট্রলার দেওয়ার বিরোধিতায় গদর এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। করিডরের বিরোধিতা করেও সংগঠিত হয়েছিল ব্যাপক আন্দোলন।
অন্য একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহেন্দ্র রাজাপক্ষে চিনপন্থী। কিছুদিন আগেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি। এর পরেই শ্রীলঙ্কায় কর্মরত চিনা নাগরিকদের সতর্ক করে দেয় ড্রাগন প্রশাসন।
আরও পড়ুন : এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!
শ্রীলঙ্কাবাসীর সিংহভাগই মনে করে চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে দেশকে টেনে তুলতে বেজিংয়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অভিযোগ, সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় বেজিং। তাতেই আরও ক্ষোভ বেড়েছে কলম্বোর। যার জেরে চিনা নগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন ড্রাগন প্রশাসন।
+ There are no comments
Add yours