মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (civic volunteer) গ্রেফতার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় (Haldia)।
কী অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে খবর কারখানায় কাজের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন ছিল বাহাদুর চন্দ্র দাসের। সেই মত তিনি দুর্গাচক (Durgachak) থানায় পৌঁছে যান। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে জাল সার্টিফিকেট গছিয়ে দেয়। পুলিশের জাল শংসাপত্র (Fake certificate) দেওয়ার পাশাপাশি নকল স্ট্যাম্প ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সার্টিফিকেট জাল বুঝে বাহাদুর চন্দ্র দাস থানার দ্বারস্থ হন। দুই গুণধর সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাসের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর ওই দুই গুণধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হলদিয়ায় কোন কারখানায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটের জন্যই কুমার চকের বাসিন্দা বাহাদুর বাবু দুর্গাচক থানায় গিয়েছিলেন। তার দাবি সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় মান্না আধার কার্ডের জেরক্স, দুটি ছবি ও ৫০০ টাকা দাবি করে। এরপর তাকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। ওই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। সঞ্জয় তাকে যে সার্টিফিকেট দেয় যাতে দুর্গাচক থানার স্ট্যাম্প ও আধিকারিকের সই ছিল। কিন্তু থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন তাকে যে সার্টিফিকেট গছিয়ে দিয়েছে থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার তা জাল। তিনি সঞ্জয় মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। অনির্বাণের জড়িত থাকার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোথা থেকে এই জাল সার্টিফিকেট এবং ভুয়া স্টাম্প তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours