মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে বালিগঞ্জে এক বেসরকারি সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কলকাতার এক ধাবা মালিক মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালকে এবারে তলব করল ইডি। আগামী বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লির ইডির সদর দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে বেশ কিছু নথিপত্র। ইডি মনে করছে, কয়লা পাচারের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন এবং ওই টাকার সঙ্গেও যোগসূত্র আছে। ফলে তাঁকে তলব করল ইডি।
মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টা ভাইয়ের সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগসূত্র!
বালিগঞ্জের টাকা উদ্ধারের ক্ষেত্রে ইডি এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার ধাবার মালিক মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টা ভাই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা সরানোর চেষ্টা করতেন কোনও এক ‘প্রভাবশালী’ রাজনীতিক। সেই মত পাতা হয়েছিল ‘ফাঁদ’। তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে মনজিতের নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, এক মন্ত্রীর ‘বেআইনি’ টাকাও ‘হ্যান্ডেল’ করতেন জিট্টা ভাই।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি
ইডির তরফে আরও দাবি করা হয়েছিল, শরৎ বোস রোডে অবস্থিত সালসার গেস্ট হাউজ কেনার ক্ষেত্রে কয়লাপাচারের কালো টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। গেস্ট হাউজের বাজারমূল্য ১২ কোটি টাকা হলেও নথিতে ৩ কোটি দেখিয়ে বাকি ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন করা হয়েছে। আর এ ভাবে আসলে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লাখ টাকাও সেই অর্থের অংশ বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই গোটা লেনদেন প্রক্রিয়ার সঙ্গে গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়াও জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির। ওই সংস্থার মালিক বিক্রম সাকারিয়াকেও ইতিমধ্যে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
ইডির তলব
কয়লা পাচারের সঙ্গে মনজিতের যোগসূত্র রয়েছে বলেই ইডি তাঁকে তলব করল। সম্পত্তি, গত ৫ বছরের আয়কর রিটার্ন, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত নথি ১৫ ফেব্রুয়ারি আনতে বলা হয়েছে তাঁকে। ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁর আত্মীয়দের নামে কী কী কেনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত গত ১০ বছরের নথিও আনতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
+ There are no comments
Add yours