মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালেই শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসীরা। ২০২৫ সালের আগে আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবার সম্ভাবনা নেই।তবে সেই আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সময় বরফে ঢাকা দৈত্যাকার ইউরেনাস গ্রহকে দেখার সুযোগ পাবে সকলে।এবার ফিরে আসা যাক পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণে (Total Lunar Eclipse)।এই চন্দ্রগ্রহণে চাঁদকে পুরোপুরি লাল রঙের দেখায় একে ব্লাড মুনও বলে।আমরা ছোটোবেলা কম বেশী সকলেই মনগড়া রাহু কেতুর গল্প পড়েছি। কিন্তু বড়ো হয়ে পাঠ্যবই পড়ে জানতে পেরেছি চন্দ্রগ্রহণ হল পৃথিবী ও চন্দ্র ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখা বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে তাকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) বলা হয়।
নাসার মতে, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল দেখানোর কারণ আর আকাশ নীল হওয়ার কারণ একই। আবার সেই একই কারণেই সূর্যাস্ত লাল দেখায়। একে বলা হয় রেইলি স্ক্যাটারিং। আলো তরঙ্গের মাধ্যমে এগোয়। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নীল আলোর ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য হয়। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে লাল আলোর তুলনায় কোনও কণা দ্বারা আরও বেশি সহজে বিক্ষিপ্ত হয়। অন্যদিকে, লাল আলো সরাসরি বায়ুমণ্ডলের মধ্য বেরিয়ে যায়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর। ফলে চাঁদের ওপর থেকে ঢাকা পড়ে যায় সরাসরি সূর্যের আলো। সেই সময় প্রতিসরণের ফলে আলো ঠিকরে চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই চাঁদকে লাল দেখায়। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে খানিকটা চাঁদে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়।এ কারণে আজকের চাঁদ অনেকটা রক্তিম বর্ণের দেখায়।আর সেই থেকেই নাম ব্লাড মুন (Blood Moon)।
কমলা ও লাল এই দু’টি দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কম বিচ্ছুরিত হয়। ওই দু’টি আলোকরশ্মি তাই বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে না। বায়ুমণ্ডলে ওই দু’টি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মির প্রতিসরণ ঘটে। আর তার ফলে সেই আলো কিছুটা বেঁকে গিয়ে পড়ে চাঁদের গায়ে। তাই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল আভা দেখা যায়।
+ There are no comments
Add yours