Ayodhya Mosque: অযোধ্যায় আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গড়ে উঠবে মসজিদ, আশাবাদী ট্রাস্ট

মসজিদ চত্বরে যে হাসপাতালটি গড়ে উঠবে সেটি আত্মপ্রকাশ করবে ১০০ বেডের হাসপাতাল হিসেবে...
ayodhya_mosque
ayodhya_mosque

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। প্রস্তুতি শুরু মসজিদ নির্মাণেরও। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই মসজিদ (Ayodhya Mosque) গড়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী মসজিদ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় অযোধ্যার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই সময়ই মন্দির থেকে কিছুটা দূরে মসজিদ গড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই মসজিদ নির্মাণের কাজই চলছে জোরকদমে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বেরর মধ্যেই ওই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা মসজিদ কমিটির।

কী কী থাকবে মসজিদ চত্বরে?

ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক আতাহার হুসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা আশা করি প্রস্তাবিত মসজিদ (Ayodhya Mosque), হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন, লাইব্রেরি এবং রিসার্চ সেন্টারের নকশার শীঘ্রই অনুমোদন পাব। এই মাসের শেষের মধ্যেই অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ওই অনুমোদন দেবে। তার পরেই দ্রুত শুরু হয়ে যাবে মসজিদ নির্মাণের কাজ। তিনি বলেন, ধন্নিপুর অযোধ্যা মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হবে যাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই। একই সঙ্গে মৌলভী আহমদউল্লা শাহ কমপ্লেক্সের পাঁচ একর জমিতে চলবে মসজিদের বাকি কাঠামো নির্মাণের কাজও।

প্রসঙ্গত, ধন্নিপুর হল অযোধ্যার ফৈজাবাদ জেলার একটি গ্রাম। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সরকার সেখানে বাবরি মসজিদের বিকল্প মসজিদ (Ayodhya Mosque) তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দিয়েছিল। জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক আতাহার হুসেন বলেন, ট্রাস্ট দ্রুত প্রস্তাবিত কাঠামোর কাজ শুরু করবে। প্রথমেই তৈরি হয়ে যাবে মসজিদটি (Ayodhya Mosque)। কারণ এটি আকারে ছোট। তিনি বলেন, যদিও কোনও ডেডলাইন এখনও স্থির হয়নি, তবুও আশা করা যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে এক বছরের মধ্যেই।

আরও পড়ুন: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

হুসেন জানান, মসজিদ (Ayodhya Mosque) চত্বরে যে হাসপাতালটি গড়ে উঠবে সেটি আত্মপ্রকাশ করবে ১০০ বেডের হাসপাতাল হিসেবে। পরে সেটি উন্নীত হবে ২০০ বেডের হাসপাতালে। কমিউনিটি কিচেনে প্রতিদিন হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। পরে লোকসংখ্যার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হবে দু হাজার। তিনি জানান, ট্রাস্ট একটি ইন্দো ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ও লাইব্রেরি তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles