মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নাবালিকাকে অপহরণের (minor kidnap) অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুব সভাপতির (youth president) বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরা থানা (Egra) এলাকায় রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হল নাবালিকাকে। মারিশদা থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার। তাঁদের দাবি, আনন্দ দাস নামের এক তৃণমূল নেতা তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করেছেন।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি এগরার কুইথোড় এলাকায়। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আনন্দ দাস। এর আগেও ওই নাবালিকাকে বিরক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে নিয়ে আগেও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন আনন্দ। ৩ মাস আগে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে মেয়েকে খুঁজে নিয়ে আসে পরিবার। তার পরে কিছুদিন হোমে থাকে ওই নাবালিকা। দুর্গাপুজোর সময় মগাশার বাসিন্দা নাবালিকা মারিশদা এলাকায় মামার বাড়িতে এসেছিল। পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই সেখানে চড়াও হন আনন্দ। শুধু তাই নয়, বাড়ি বয়ে গিয়ে নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দেন। জিজ্ঞেস করেন, কেন পুলিশে জানিয়েছিলেন। মারধর করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর পর বিজয়া দশমীর পরের দিন ফের নাবালিকাকে সঙ্গে করে বাড়ি থেকে নিয়ে পালান আনন্দ।
আরও পড়ুন: সমাজ সেবায় ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির আবেদন চলছে
অভিযোগ নাবালিকাকে আগে থেকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল সে। ওই রাতেই জোর করে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় মেয়েটির পরিবার। আনন্দ মারধর করে ওই নাবালিকার বাবাকে। এরপরে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৬ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে বয়সে দ্বিগুণ প্রায় ৩০ বছর বয়সি ওই যুবকের বিয়ে মেনে নেয়নি তার পরিবার।
পরিবারের দাবি, আনন্দ হুমকি দিয়ে বলেন, তিনি তৃণমূলের একজন প্রভাবশালী নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। থানা পুলিশ আদালত কোনও কিছুই কাজ করবে না। এই মর্মে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত এফআইআর করেছে নাবালিকার বাবা গদাধর ভূঁইঞ্যা।
+ There are no comments
Add yours