মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বভার রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে অনুব্রতর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ছাঁটতে শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।
প্রথমবার জিতেই জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ
বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ চৌধুরিকে সরিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কর্মাধ্যক্ষদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ অনুব্রত গোষ্ঠীর। এ নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। কাজল শেখ অবশ্য বলছেন, যে কাজ করবে সেই স্থান পাবে। পুরনোরা কি সারাজীবন থেকে যাবে? নতুনরা কি চান্স পাবে না? খুব স্বাভাবিকভাবে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সরানোর সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আকারে-ইঙ্গিতে এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাজল শেখ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন অনুব্রত অনুগামী নারায়ন হালদার এবং রবি মুর্মু। তাঁরা নিজেরাই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পদে থাকতে চাইছেন না। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজল শেখ (Birbhum News) ইতিমধ্যে তাই নাম ঘোষণা করেছেন নুরুল ইসলামের।
গোষ্ঠী কোন্দল জেলা তৃণমূলে (Birbhum News)
বীরভূম তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল অবশ্য জনগণের কাছেও ধামাচাপা থাকেনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিভিন্ন কাট-আউটে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। কিন্তু হাল আমলে অনুব্রতর ছবি বাদ গেছে। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কাজল শেখের ছবি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি, ‘‘দাদার ভক্ত হবে না ভাইজানের ভক্ত হবে, এই লড়াই যত দিন যাবে, তত সামনে আসবে। শুধু এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই। এই ব্যবস্থাই চলছে (Birbhum News) তৃণমূলের।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours