Arpita Mukherjee: মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

প্রশিক্ষকরা আসেন না, তবে খাবার আসে...
dog
dog

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬০০ বর্গফুট জায়গা। সেখানেই মিলেমিশে রয়েছে ভিন্ন প্রজাতির ন’টি সারমেয় (Dogs)। এদের মালিক ও মালকিন এখন ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার। তাই প্রশিক্ষকরাও (Trainer) আসেন না। বাইরে বেরনো হয় না। কেবল একজন এসে নিয়মিত খাবার দিয়ে যান। অগত্যা চিলতে ঘরেই আপাতত দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সাধের কুকুরকুলের।

টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ১৮ তলার একটি ঘরেই বাস অ-পার কুকুরগুলির। যে ন’টি কুকুর রয়েছে সেগুলির সবই উন্নত প্রজাতির। স্থানীয়দের বক্তব্য, কুকুরগুলির একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগল প্রজাতির কুকুর। দুটি করে ল্যাব্রাডর ও গোল্ডেন রিট্রিভারও রয়েছে।উন্নত প্রজাতির এই কুকুরগুলির মূল্য চার লক্ষ টাকারও বেশি।

আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

স্থানীয়রাই জানাচ্ছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যখন ইডির হাতে গ্রেফতার হননি, যখন অর্পিতার ফ্ল্যাটে হদিশ মেলেনি সোনা-টাকার খনির, তখন সুদিন ছিল এই সারমেয়কুলের। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আসতেন প্রশিক্ষকরা। বিভিন্ন কুকুরের আলাদা আলাদা প্রশিক্ষক। রাস্তায় বের হলে হাঁ করে দেখতেন স্থানীয়রা। কুকুর প্রেমীরা এগিয়ে আসতেন দামী কুকুর একবার ছুঁয়ে দেখতে। নানা রঙের ও দামের এই কুকুরগুলি লিফ্টে করে নামত ফি বিকেলে। ট্রেনিং শেষে ফিরত এসি ফ্ল্যাটে। তার পরেই একপ্রস্ত ভূরিভোজ। লেজ নাড়িয়ে মালিক-মালকিনের আদর খাওয়া।

মালিক-মালকিন গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেমালুম হাওয়া সেসব আদর যত্ন। বদলেছে সারমেয়কুলের দৈনন্দিন রুটিনও। এখন আর প্রশিক্ষকরা আসেন না। তবে খাবার আসে। কুকুরগুলি বর্জ্য কে পরিষ্কার করে, ফ্ল্যাটে এসি চলে কিনা, তা জানেন না স্থানীয়রাও। 

পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পরেই একটি এনজিও সংস্থার তরফে ইডিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, আপাতত কুকুরগুলিকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হোক। এনজিওর এক কর্তা জানান, তারা আমাদের দেবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু এখনও কিছুই করা হয়নি।

আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

অতএব, ১৬০০ বর্গফুটের চিলতে ঘরেই মালিক-মালকিনের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে রয়েছে তাঁদের সাধের সারমেয়রা। মাঝে মধ্যে অবশ্য চিৎকার করে। হয়তো মালিক কিংবা মালকিনের খোঁজ করে। অবোলা পশুরা তো আর জানে না মালিক-মালকিন এখন ইডির জালে। যে জাল ছিঁড়ে বেরনো সহজ নয়, বাবা!

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles