মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানুর, কীর্ণাহার (Birbhum) সরগরম কেষ্ট মণ্ডলের তিহারবাস আর জেলযাত্রা নিয়ে সং-এর গানে। নানুর বিধানসভার কীর্ণাহারের দাসকল গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের ধূলোট উৎসবে এক অভিনব "সং"-এর দল দেখা গেল, যেখানে গানের মধ্যে উঠে এল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্ট মণ্ডলের তিহার জীবনের কথা। এমনকি হাস্যরসাত্মক সুর দিয়ে “সং” শিল্পীরা তুলে ধরলেন দুর্নীতির প্রসঙ্গও। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
কেন গান (Birbhum)?
বাংলা শিল্প, সৃষ্টি, কৃষ্টির ভূমি। সমাজ জীবনে ঘটে চলা বিষয়কে নিয়ে বাঙালি সর্বাদা শিল্প-নাটক-নৃত্য গান ও কলমের ভাষায় প্রতিবাদ করে থাকে। ঠিক এমনটাই করল গ্রামীণ “সং” গানের শিল্পীরা। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডল (Birbhum) আর দুয়ারে উন্নয়ন-এই দুই স্লোগান নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার শাসক দলের। আর এই দুই স্লোগানকে গানের সুরে তীব্র কটাক্ষ করে গ্রামের মানুষের মনোরঞ্জন করলেন একদল গ্রামীণ শিল্পী। প্রত্যেকেই মহিলা সেজে গান পরিবেশন করেন। “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল? “সং” সেজে গানে প্রতিবাদ দেখা গেল।
প্রতিবাদের ভাষা “সং”
তবে এমন একটা সময় ছিল, যখন এখনকার মতো ডিজিটাল বিনোদন আর মুঠো ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ছিল না। মানুষ যাত্রা, নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাস্যরসের বন্যা বইয়ে দিত “সং”সেজে। যেখানে তিনদিনের হরিনাম-সংকীর্তন শেষে ধূলোট উৎসবে “সং” সেজে দল বেঁধে হাস্যরসাত্মক গান শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিলেন গ্রামেরই গৌতম মণ্ডল, পরেশ চট্টরাজ, বাপি কর্মকার, দ্রুপদ ব্যানার্জি, লালু মাঝিরা। তবে "সং" মানেই কটাক্ষ, "সং" মানেই হাস্যরস। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কেষ্ট মণ্ডল বা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও, "সং" পরিবেশনের বিষয়টা পুরোটাই ছিল অ-রাজনৈতিক। কিন্তু "সং" এর গানে ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতার কথাই।
শিল্পীরা কী বলেছেন?
শিল্পীরা (Birbhum) বলেন, সমাজে যা দেখেছি আর তাই নিয়ে গান বানিয়েছি। নাম সংকীর্তনের পাশাপাশি এই গান করে থাকি। শুধুমাত্র মানুষের মুখে হাসি আনতে আমরা পরিবেশন করি। বর্তমান সমাজে হাসি আর সুখের অভাব, তাই সাময়িক বিনোদনের চেষ্টা করে থাকি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours