মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রে অগ্নিগর্ভ ভাঙড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয়েছে রাজীবকে। ভাঙড়ের সংঘর্ষের পর বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এহেন আবহে হওয়ার কথা ছিল রাজীব-রাজ্যপাল বৈঠক। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক অশান্তির ঘটনায় রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় আবেদন করা হয়েছে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে।
ভাঙড়ে রাজ্যপাল
দিন কয়েক ধরে মাঝেমধ্যেই অশান্ত হয়েছে ভাঙড়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজয়গঞ্জ বাজারে। শুক্রবার ওই বাজার ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। পরে যান ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর বিডিও অফিসে। স্থানীয়দের পাশাপাশি কথা বলেন বিডিও অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গেও। পরে রাজ্যপাল বলেন, “গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। কোনওভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”
আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল
শনিবার দুপুরে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত। পরে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে রাজ্যপাল বদ্ধপরিকর। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, যেভাবে সন্ত্রাস আটকানো সম্ভব, তা তিনি করবেন। রাজ্যপাল নিজে কাল ভাঙড়ে গিয়ে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “রাজ্যপাল তো আর সরাসরি মাঠে নেমে যুদ্ধ করতে পারেন না। তাঁকে যেভাবে কাজ করতে হয়, তিনি সেভাবেই করবেন। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তিনি ডেকে পাঠাতে পারেন। এখন যেহেতু নির্বাচন চলছে, তাই তিনি নির্বাচন কমিশনকে ডেকে পদক্ষেপ করবেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours