মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও মেটানো হয়নি কর্মীদের ডিএ (DA)। সেই কারণে এবার রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ (electricity) সংস্থা পিডিসিএল (PDCL) এবং এসিডিএসএলের (ACDSL) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই দুই সংস্থার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। যতদিন না কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের একভাগ মেটানো হচ্ছে, ততদিন বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থা পিডিসিএল এবং এসিডিএসএলের কর্মীরা তাঁদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তার পরেও মহার্ঘ ভাতা না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মীদের ডিএ মেটানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল আদালত। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় এবার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?
এই মামলায় আদালতের নির্দেশ ছিল, বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দিতে হবে কর্মীদের। তা না মেটানোয় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের জেনারেল ম্যানেজার ও দুই সংস্থার সিএমডি-র বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, যতদিন না কর্মীদের বকেয়া ডিএর পাঁচ ভাগের একভাগ মেটানো হচ্ছে, ততদিন বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্দেশ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
আদালতের নির্দেশে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বকেয়া ডি এ-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না দিয়ে শুধু ২০১৯ সালের বকেয়ার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন রোপা রুল (রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস) অনুযায়ী বকেয়া ডিএ হিসাব করে তার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হল না কেন, সে প্রশ্ন তোলে আদালত।
আরও পড়ুন : বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী হাইকোর্ট, এবার তৃণমূলের রোষে খোদ বিচারপতি
এর পরেই এদিন দুই সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, টাকার জন্য কাঁদছে। অবাক লাগে। তাঁর প্রশ্ন, বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি? সংস্থার কর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কর্মীরাও মানুষ। তাঁরা এন্ট্রি খাতা নন। তাঁদের ছাড়া সংস্থা চলে না। ঠিক মতো ব্যবহার করুন।
এর আগের শুনানিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ২৩ জুনের মধ্যে দুই সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মীর বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের একভাগ মিটিয়ে দিতে হবে। বকেয়া মেটানোর পরের দিন আদালতে এসে নির্দেশ পালন হয়েছে কিনা, তাও জানাতে বলা হয়েছিল। সময় দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সেই কারণেই শুক্রবার হয় ওই মামলার শুনানি।
+ There are no comments
Add yours