মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) যে বহাল তবিয়তে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim), তা অনেক আগেই জানা ছিল। এবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকেই এখনও ভারতে বসবাসকারী নিজের ভাই বোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন।
আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নবাব মালিকের (Nawab Malik) বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই মামলায় বেশ কয়েকজন সাক্ষীকে জেরা করেছে তারা। কিছুদিন আগেই আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মালিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এক সাক্ষী জেরায় স্বীকার করেছে যে, ইকবাল কাসকর (Iqbal Kaskar) একবার তাকে বলেছিল, তার দাদা দাউদ প্রতিমাসে তাদের বোন হাসিনাকে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায়।
ইডি বলেছে, খলিদ উসমান শেখ নামে ওই সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী, পরিচিতদের মাধ্যমে দাউদ টাকা পাঠায়। কাসকরও প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পেত। বেশ কয়েকবার, দাউদের থেকে প্রাপ্ত টাকাও দেখিয়েছিল কাসকর। ইডি জানিয়েছে, খালিদের দাদা ছিল কাসকরের বাল্যবন্ধু। গ্যাং ওয়ারে মারা যায় সে। সেই দাদার সঙ্গে আবার দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের (Haseena Parkar) গাড়িচালক তথা দেহরক্ষী সলিম প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইডি-র দাবি, জেরায় খালিদ জানিয়েছে, প্যাটেল তাকে জানিয়েছিল - সে আর হাসিনা দাউদের নামে টাকা আদায় করত, সম্পত্তি কব্জা করত। মুম্বইয়ের কুর্লাতে এমনই একটি সম্পত্তি কব্জা করেছিল পার্কার-প্যাটেল। পরে তা নবাব মালিককে বেচে দেওয়া হয়।
মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি
এর আগেও, বিভিন্ন মামলায় একাধিক সাক্ষী স্বীকার করেছে যে, দাউদ রয়েছে পাকিস্তানেই। সেই তালিকায় যেমন কাসকর রয়েছে, তেমনই রয়েছে হাসিনা পার্কারের ছেলে আলিশাহ। কাসকর জানিয়েছিল, দাউদের স্ত্রীর নাম মেহজাবীন। পাঁচ সন্তান রয়েছে। এক ছেলে, নাম মঈন। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আবার আলিশাহ জানিয়েছে, ইদ-দীপাবলির মতো উৎসবের সময় মেহজবীন তাদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করত।
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের (1993 Bombay Blasts) পর থেকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ভারত। অনেকবারই হাতের নাগালে এসেও ফসকে গিয়েছে এই আন্তর্জাতিক মাফিয়া। সম্প্রতি দাউদকে খুঁজতে আবার কোমর বেঁধেছে এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। ‘ডি কোম্পানি’-র বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় (Money Laundering Case) মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিককে আগেই গ্রেফতার করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
+ There are no comments
Add yours