মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় (Accident Death) মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই বিজেপি নেতার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বারাবনি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুই বিজেপি নেতা মন্ডল সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বারাবনি থানার গৌরান্ডী থেকে আসানসোল যাওয়ার রাস্তার আমডিহা মোড় এলাকায়।
কী বলছে আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ?
তবে দুই বিজেপি নেতার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে (Accident Death) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, দুই বিজেপি নেতার মৃত্যু রহস্যজনক দুর্ঘটনা বলে তাঁরা মনে করছেন। আদতে কি দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোল জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ দে ও রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জিরা। তাদের বক্তব্য, ওই দুই নেতা খুবই লড়াকু ছিলেন। কিন্তু তারা গ্রামে থাকতে পারতেন না। আসানসোলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যার পর আসানসোল ফিরে পড়তেন। এদিনও তাই করেছিলেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে বলেই তারা মনে করছেন।
কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা ?
মৃত দুই বিজেপি নেতার নাম বাবলু সিংহ ও মহেন্দ্র সিংহ। এঁরা দাসকেয়ারির বাসিন্দা। এঁরা দুজনেই একটি মোটর বাইকে করে গৌরান্ডী থেকে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই বারাবনি থানার আমডিহা মোড়ে এক পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বের হওয়ার সময় কোনও বড় লরি এসে তাঁদের ধাক্কা মারে (Accident Death)। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাবলু সিংহের। আহত অবস্থায় পুলিশ মহেন্দ্র সিংহকে নিয়ে যায় আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর তিনিও মারা যান। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে আসে বারাবনি ব্লক জুড়ে। তবে দুর্ঘটনার পর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ঘাতক কোনও লরি ধরা পড়েনি।
কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব ?
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপির হাতে কিছু কাজ নেই। তাই তৃণমূলের নামে সব জায়গায় বদনাম করার চেষ্টা করছে। পথ দুর্ঘটনার (Accident Death) তদন্ত করছে পুলিশ। আর এই দুর্ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক রং দিচ্ছে! সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলার জন্য ইস্যুর দরকার। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বারাবনিতে প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই তারা তৃণমূলের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours