Debt Trap: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে আর্থিক সংকটে বহু দেশ, চিন্তিত আমেরিকা

কিছুদিনের মধ্যেই সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারত সফরে আসছেন।
america_china
america_china

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে (Debt Trap) আর্থিক সংকটে একের পর এক দেশ। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের অবস্থাও তথৈবচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এবার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। আমেরিকার অনুমান, এভাবেই ঋণের ফাঁদে ফেলে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারে চিন।

আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি 

কিছুদিনের মধ্যেই সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারত সফরে আসছেন। ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ভারতে থাকবেন ব্লিঙ্কেন। তার আগে উপমহাদেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আমেরিকার হয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্কিত বিষয়ের সহ সচিব ডোনাল্ডক লু (Debt Trap) । তিনি বলেন, ভারতের যেসব প্রতিবেশী (পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল) রাষ্ট্রগুলি রয়েছে, তাদের ঋণ দিয়েছে চিন। আমরা এনিয়ে চিন্তিত যে, এই লোন নিজেদের উদ্দেশে সাধনে ব্যবহার করতে পারে তারা।  

লু বলেন, "আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। ওই এলাকার দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি। বলা হচ্ছে, নিজেদের সিদ্ধান্ত আপনারা নিজেরা নিন। চিন-সহ অন্য কোনও সঙ্গী রাষ্ট্র যেন আপনাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে না পারে।" সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার ঘোষণা করেন, "বোর্ড অফ চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (Debt Trap) তাদের ৭০০ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট অনুমোদন করেছে।" এই প্রসঙ্গেই লু বলেন, "চিনকে নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গুরুতর আলোচনা চলছে।"

আরও পড়ুন: "মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার", রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

ডোনাল্ড লু বলেন, "আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি (Debt Trap) । কীভাবে আমরা দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারি সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। চিন যাতে বাইরে থেকে কাউকে চাপ দিয়ে কোনও কিছু করতে বাধ্য না করতে পারে, তা নিয়ে কথা হচ্ছে।" 

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকবছর ধরেই চিনা 'ঋণের ফাঁদ' নিয়ে উত্তাল বিশ্ব (Debt Trap)। বিভিন্ন দেশকে অর্থ সাহায্য করে নিজের দলে টানতে চাইছে জিংপিং- এর দেশ। গতবছরই শ্রীলঙ্কার ভয়ানক পরিস্থিতি তার অন্যতম প্রমাণ। ভারতের পড়শি নেপাল, বাংলাদেশকেও এই 'ঋণের ফাঁদে' ফেলতে চায় চিন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেই ফাঁদে আর্ধেক পা দিয়ে রেখেছে 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে'র নামে। আর এবার দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিল পাকিস্তান।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles