Dehydration: গরমে বাড়ছে ডিহাইড্রেশন! কী ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে? কীভাবে রুখবেন এই সমস্যা? 

ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি!
Dehydration
Dehydration

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে! বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানাচ্ছে না আবহাওয়া দফতর! কিন্তু অফিস কিংবা অন্যান্য কাজে বাইরে যেতেই হচ্ছে। বাড়িতে থাকলেও এই গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি! যা মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কী? 

অতিরিক্ত ঘাম কিংবা পর্যাপ্ত জলের অভাবে শরীর থেকে প্রয়োজনের বেশি তরল পদার্থ বেরিয়ে যাওয়াকেই বলা হয় ডিহাইড্রেশন (Dehydration)।

ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কী ঝুঁকি তৈরি করে? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। ডিহাইড্রেশন (Dehydration) হলে কিডনির কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্কে অক্সিজেন যায় না। ফলে মস্তিষ্কের শক্তি কমে। কিডনিতে হতে পারে স্টোন। এমনকী মস্তিষ্ক বিকল পর্যন্ত হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন ডিহাইড্রেশন (Dehydration) হতে পারে? 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলেই ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে বমি, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে বুঝতে হবে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাছাড়া, গলা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, কাশি এবং ক্লান্তি বোধ ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ।

কীভাবে রুখবেন ডিহাইড্রেশন (Dehydration)? 

এই গরমে ডিহাইড্রেশন (Dehydration) রুখতে বাড়তি সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন না থাকলে বেলা বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত রাস্তায় না থাকাই ভালো। সরাসরি সূর্যের তাপ এই সময় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে, বাইরে থাকলে অবশ্যই সঙ্গে জলের বোতল রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমাণ মতো জল খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধু বাইরে নয়, যাঁরা বাড়িতে থাকছেন, এই গরমে তাঁরাও কতটা পরিমাণ জল খাচ্ছেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে নুন-চিনি দেওয়া সরবত বারবার খাওয়া দরকার। তাতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি অনেক কমে। ওআরএস খেলে আরও ভালো। তবে, ওআরএস কেনার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত পরিমাপে ওআরএস তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ প্যাকেটজাত পানীয় ওআরএস বলে বিক্রি করা হয়, যা ডিহাইড্রেশন রুখতে কোনও কাজ দেয় না। 
এছাড়াও, প্রয়োজন নিয়মিত ডাব, তরমুজ, পেঁপের মতো ফল খাওয়া। ডাবের জলের একাধিক উপাদান ডিহাইড্রেশন রুখতে সাহায্য করে। তাছাড়া তরমুজও শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই নিয়ম করে এই ফল খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles