মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে দিল্লির অঞ্জলি সিং-এর ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার, দিল্লি পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজনের তালিকায় উঠে এসেছে আরও দুই ব্যক্তির নাম। এমনকী জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যেই গাড়ির সওয়ারি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা জানিয়েছেন, এই দুই সন্দেহভাজন হলেন আশুতোষ এবং অঙ্কুশ নামের ব্যক্তি। তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অঞ্জলির মত্ত হয়ে গাড়ি চালানোর নিধির দাবিকে মিথ্যে বলেছেন অঞ্জলির মা।
অঞ্জলি সিং-এর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পাঁচজনের নাম অমিত খান্না, দীপক খান্না, মিঠুন, কৃষাণ এবং মনোজ মিত্তাল। আর এদেরকেই সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি। সাগরপ্রীত হুডা বলেন, “আমরা পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেরার সময় আমরা জানতে পেরেছি, এই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি জড়িত আছে। আমাদের দল তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। অপর দুই অভিযুক্তের নাম আশুতোষ এবং অঙ্কুশ খান্না। তারা ওই পাঁচজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন।”
হুডা আরও জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের মোট ১৮ টি দল গঠন করা হয়েছে এবং তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্জশিট দাখিল করার চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়েছেন, অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী, ঘটনার অন্যতম সাক্ষী নিধির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনও যোগসূত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
Kanjhawala death case | We are trying to file the charge sheet as early as possible. A total of 18 teams of Delhi Police are investigating this case. Two new accused have tried to tamper the evidence and have given misinformation as they tried to help the accused: Special CP(L&O) pic.twitter.com/sDcvPjJsud
— ANI (@ANI) January 5, 2023
আরও পড়ুন:দিল্লি কি সর্দি! ঠান্ডায় জবুথবু রাজধানী, পারদ নামল ২.৫ ডিগ্রিতে
নিধির দাবি অস্বীকার অঞ্জলির মায়ের
অঞ্জলির বন্ধু নিধি দাবি করেছিলেন, অঞ্জলি মত্ত হয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন। এবার তাঁর এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন অঞ্জলির মা রেখা দেবী। তাঁর অভিযোগ, নিধি মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর মেয়েকে খুনের চক্রান্তে সে-ও শামিল ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আবার অঞ্জলির পারিবারিক চিকিৎসক জানান, তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মদ খাওয়ার সপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অঞ্জলির মায়েরও দাবি, তিনি তাঁর মেয়েকে কোনও দিন মদ খেয়ে বাড়ি আসতে দেখেননি। উল্টে নিধির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ক্ষতিপূরণ অঞ্জলির পরিবারকে
এই ঘটনার পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বুধবার অঞ্জলির বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যে অঞ্জলির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পরবর্তীতে এই ঘটনায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার।
+ There are no comments
Add yours